মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত কাউয়াদীঘি হাওর এলাকায় আনুষ্ঠানিক ভাবে বোরো ধান কর্তন শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাউয়াদিঘি হাওরের মিরপুর এবং রাজনগর উপজেলার কাশিমপুর পাম্প হাউজের পাশে বোরো ধান কর্তনের উদ্বোধন করেন নবাগত জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম।
জেলা প্রশাসক স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে বোরো ধান কর্তন করে উৎসাহ প্রদান করেন। পরে জেলা প্রশাসক যান্ত্রিক উপায়ে বোরো ধান কর্তন মাঠ পরিদর্শন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, রোরো ধান কর্তন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সম্ভব হবে। তিনি ব্রি ধান ২৮ ও ২৯ চাষ না করতে কৃষকদের অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, এখন থেকে ব্রি ৮৮ এবং ব্রি ৮৯ চাষ করতে হবে। এই আদলে চাষাবাদ করলে কৃষকরা ভালো ফসল ঘরে তুলতে পারবে। নবাগত জেলা প্রশাসক বলেন, ক্ষতিগগ্রস্থ কৃষকদের ইতোমধ্যে ভর্তূকি দেয়া শুরু হয়েছে।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ধান কর্তন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) প্রভাংশু সোম মহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল হক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাছুদ্দিন আহমদ, স্থানীয় কৃষক, জেলা প্রশাসন কর্মকর্তা ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাসহ গণমাধ্যম কর্মীগণ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ হয়েছে ৬০ হাজার ৫৭ হেক্টর জমি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ২৯ হাজার মেট্রিক টন ধান। উল্যেখ্য জেলায় ব্রি ২৮, ব্রি ২৯ ও ব্রি ৪৮ ধান প্রায় ৫০০ একরের বেশী জমি ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে নষ্ঠ হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ইতিমধ্যে আউস ধান চাষাবাদের জন্য বীজ ও সার দেয়া শুরু হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাছুদ্দিন আহমদ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জেলা জুড়ে ৮ হাজার হেক্টর বোরো চাষাবাদের জমি রয়েছে। ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৫০০ একর জমি। তবে, কাউয়াদীঘি হাওর পাড়ের একাধিক কৃষকের সাথে আলাপচারিতায় জানা যায়, এবার এক তৃতীয়াংশ ফসল হয়েছে। বাকি দুই ভাগ নষ্ট হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজনগর উপজেলা ফতেহপুর ইউনিয়নের বহু কৃষক জানান, গতবারের চেয়ে এবার তিন ভাগের এক ভাগ ধান গোলায় তুলা মুশকিল হবে।