লণ্ডন।। লণ্ডন চিজেলহার্স্ট-এর ‘দারুল উলুম’ ইসলামী স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে পুলিশের এক অভিযানের কারণে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফা মুসা ও তার পুত্র স্কুলের নিরাপত্তা কর্মী ইউসুফ মুসাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৩০শে মে।
কে একজন বন্দুক নিয়ে ঘুরাফেরা করছেন এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ স্কুল এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং অনুসন্ধানের পর অস্ত্রসহ যাকে গ্রেপ্তার করে তিনি ছিলেন দারুল উলুম নামের ওই ইসলামিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফা মুসার ছেলে ইউসুফ মুসা। পুলিশের অনুসন্ধানের সময় স্কুলের নিচের একটি ঘর থেকে নগর ৪০০,০০০(চারশত হাজার পাউণ্ড) উদ্ধার করে। অথচ স্কুলটি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। ফলে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের সাথে ‘মানিলন্ডারিং’ জড়িত সন্দেহে পুলিশ প্রধান শিক্ষক মোস্তাফা মুসাকেও গ্রেপ্তার করে হাজতে পাঠিয়েছিল। ইভিনিং ষ্টেণ্ডার্ডে প্রকাশিত আদালতের এ খবরটি আজ টুইট করেন কেমডেনের একসময়ের কাউন্সিলার ও আইনজীবী মি: রাজ চাদা।
‘ওয়েস্ট মিনিস্টার মেজিস্ট্রেট কোর্ট’ তাদের আজকের শুনানীতে এমন একটি ভিতিপ্রদ কাহিনী শুনেন। শুধু নগদ ওই টাকা আর একটি বন্দুক নয় অনুসন্ধানের সময় পুলিশ ইউসুফ মুসার ঘরে একটি খেলনা বন্দুক ও কতিপয় ধারালো অস্ত্রও খুঁজে পায়।
আদালতে আজ মামলা শুনানীর সময় শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাগন বলেন, স্কুলের ১৫৫টি কিশোর ছাত্রের নিরাপত্তার কারণে তারা স্কুলটিকে সরকারী খাতা থেকে সাময়িক বাদ দেয়ার আদেশের জন্য আদালতে জরুরী দরখাস্ত করেছিলেন। এদিকে, অস্ত্র সংক্রান্ত ঘটনার পরের দিনই প্রধান শিক্ষক মোস্তাফা মুসাকে অর্থ চোরাচালানীর সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
ভবিষ্যতে স্কুলের সাথে এই মোস্তাফা মুসা ও তদীয় পুত্র ইউসুফ মুসার কোনরূপ সংশ্রব থাকবেনা এমন একটি শর্তে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে আপাততঃ রক্ষা পেয়েছে। সূত্র: ইভিনিং ষ্টেণ্ডার্ড