অনেক গবেষক আবার মনে করেন ১৪৪০ নয় তারও অনেক আগে ঘটেছিল মূসার দেশত্যাগ। বাইবেল অনুসরণকারী অনেক গবেষক মনে করেন ১৫৫০ খৃষ্টপূর্বাব্দে মূসা মিশর ত্যাগ করেন। অর্থাৎ চিরদিনের জন্য প্রস্থান করেন। তাদের মধ্যে অনেকেই আবার ভিন্ন একটি মত পোষণ করেন। তারা মনে করেন ১৪শত নয়, ১৫শতও নয় বরং মূসার দেশত্যাগ ঘটেছিল খৃষ্টপূর্বাব্দ ১৩০০ শতাব্দিতে।
এদিকে বিগত প্রায় দু’শ বছর ধরে ঐতিহাসিকগন যে তথ্য উপাত্ত জোগাড় করেছেন তা’থেকে অনুমিত হয় যে আসলেই দেশত্যাগের মত কোন ঘটনা মূসার ঘটেনি। এটি একেবারে বানানো একটি বাইবেলীয় কাহিনী মাত্র। ফলে প্রায় সকল ঐতিহাসিকগনই বলছেন যে, এখানে এমন ধরনের কোন ঘটনা অর্থাৎ কয়েক হাজার সহচর নিয়ে নীল নদী পাড়ি দিয়ে কেনান দেশে যাওয়ার মত কোন ঘটনা অতীতের কোন সময়ই ঘটেনি এবং কোনভাবেই অতীতের ব্রঞ্চ যুগে কেনান দেশের ভূমি কেউ জবর দখল করে রাখেনি। এটি একটি কল্প কাহিনী ছাড়া আর কিছুই নয়।
যদি মূসা কিংবা মূসা নাম দিয়ে যে কাহিনী বাইবেলে এসেছে সেই তিনি সম্ভবতঃ কোন পলাতক ক্রীতদাসদের কোন একটি ছোট্ট দলকে নিয়ে মিশর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন যাদের বহুজনই তাদের সাথীদের সাথে জুদায় সমবেত হয়েছিলেন। খুব সম্ভবতঃ সময়টি ছিল লৌহ যুগের প্রথম দিক। এ পর্যন্ত মূসা বিষয়ে ইতিহাসবিদ ও গবেষকগন এটুকুই সত্য মনে করছেন। আসলেই মূসা বলে কেউ ছিলেন কি-না এমন ধরনের প্রশ্নও ঐতিহাসিক-গবেষকদের মাঝে এখনও গভীরভাবে কাজ করছে। নদীর বিষয়টিও এখনও কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি। -তথ্য সূত্র কোড়া
|