| গত এক বছরে ৩০জন সাংবাদিককে হয়রানী, হুমকি, লাঞ্চিত, আটক এমনকি হত্যা করা হয়েছে |
বিশ্বের অনেক দেশেই সাংবাদিকরা নিগৃহীত হচ্ছেন; এর মধ্যে রয়েছে হামলা, হয়রানি, চাকরিচ্যুতির মতো ঘটনা, এমনকি প্রাণহানির মতো চরম পরিণতিও। ফিলিস্তিন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোকে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে সাংবাদিকরা প্রায়শই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিগ্রহের শিকার হন। পরিবেশ সাংবাদিকগন আরো বেশী নিগৃহীত হচ্ছেন।
বিগত এক বছরে ৩০জন সাংবাদিককে হয়রানী, হুমকি, লাঞ্চিত, আটক এমনকি হত্যা করা হয়েছে কেবলমাত্র পরিবেশগত বিষয়ে লিখার জন্য।
গত ১০ নভেম্বর এ ব্রাজিলের বেলেম-এ ‘কপ৩০’ শুরু হওয়ার পর “রিপোর্টার্স উইথাউট বর্ডারস”(আরএসএফ) দেশে দেশে বিদ্যমান সরকারগুলোকে বিশ্বস্ত তথ্য সুরক্ষা বা নিরাপত্ত্বার ব্যবস্থাকরণের কথা বলে আসছে এবং যাঁরা এ ব্যবস্থা নেবে তারাই হবে বৈশ্বিক জলবায়ূ পরিবর্তনের আন্দোলনে মূল খুঁটি।
কারণ পরিবেশিক সাংবাদিক বিহনে এবং এসকল তথ্য ব্যতিত আমরা পরিবেশ বিষয়ে আমাদের এ বিশ্বে কি ঘটছে সেবিষয়ে বিশ্বস্ত তথ্য আমরা পেতে পারবোনা।
এখানে ৩জন পরিবেশিক সাংবাদিকের কথা তুলে ধরা আবশ্যক মনেকরি কারণ এরা ৩জন পরিবেশ নিয়ে তাদের কাজের জন্য হুমকির সন্মুখীন হয়েছেন। তাদেরই একজন ভারতের স্নেহা ভার্ব। তিনি প্রাকৃতিক সম্পদের বেআইনী নিষ্কাশন এবং রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী স্বার্থ রক্ষকদের দ্বন্ধের উপর খোঁজ রাখার কাজ করাকালীন মারাত্মক হুমকির সন্মুখীন হয়েছেন। তিনি এ কাজ করতে গিযে নিয়োমিতভাবে হুমকি পেয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখযোগ্য যে, বিগত ৪জুলাই ২০২৫ইং তারিখে মহারাষ্ট্র রাজ্যের মনচর এলাকায় একটি আইনবিরোদ্ধ নির্মাণকাজের উপর খবর সংগ্রহ করতে গেলে তাকে চারদিক থেকে ঠিকাদারের কিছু লোকজন ঘিরে ফেলে এবং নির্দয়ভাবে আক্রমণ করে এবং হিংস্রভাবে তার মুখে ও পেছনে কাঠের লাঠি দিয়ে আঘাত করে।
গেল বছর, ব্রাজিলের “তাপাজচ দ্যা ফাটো” এর প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম এবং সমন্বয়ক মার্কস ওয়েজলিকে অবৈধভাবে বনাঞ্চল ধ্বংস ও খণিজ আহরণ ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের দায়ীত্বের উপর অনুসন্ধানী লিখার জন্য বার বার হুমকি দিয়ে পরে জোরপূর্বক ঘরবাড়ী ছেড়ে তার পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য করা হয়।
ফ্রান্সের একজন স্বাধীনচেতা সাংবাদিক “ইনেস লেরো” কে অবিরামভাবে অন্তর্জাল হয়রানী, বদনামের প্রচারণা এমনকি বহু মিথ্যা মানহানিকর মামলার ভুগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
পরিবেশ বদলের এ সময়ে পরিবেশবাদী সাংবাদিকতাকে রক্ষা সকলের দায়ীত্ব বলেই “রিপোর্টাস উইথাউট বর্ডার্স” (আরএসএফ) মনে করে।[RSF সংবাদ]