লাখো মানুষের প্রতিবাদ হয়ে গেলো আজ সারা বৃটেনে। বৃটেনের বড় বড় শহরগুলোতে মানুষ মিছিল করে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। রাজধানী লণ্ডনের জাতীয় সংসদের কাছাকাছি রাজবাড়ীর নিকটেই হোয়াইট হাউসের সামনে রাস্তায় অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিবাদ সভা। সকাল সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠিতব্য প্রতিবাদ সভায় সকাল থেকেই মানুষ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল করে সভায় আসতে শুরু করে।
আজকের প্রতিবাদের মূল বিষয় ছিল বর্তমান ক্ষমতাসীন রক্ষনশীল দলের একাংশ ও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের শর্তহীন ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে গণতন্ত্রের জন্মদাতা বৃটিশ সংসদকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরিস জনসন মহামান্য রাণীর কাছে বৃটিশ সংসদের কার্যক্রম সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ রাখার আবেদন জানান। রাণী স্বাভাবিক নিয়মে তার অনুমোদন দেন। আর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ শনিবার ৩১শে আগষ্ট বৃটেনের সবক’টি বিরুধী দল ও ট্রেডইউনিয়ন সম্মিলিতভাবে এ প্রতিবাদের ডাক দেয়।
মানুষের বক্তব্য ধনবাদীরা আর গণতন্ত্র দিতে রাজী নয়। এবার তারা প্রকাশ্যেই বৃটেনের আপামর জনসাধারণের মৌলিক অধিকার গণতন্ত্রকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করতে উদ্যত। খুবই লজ্জ্বাজনক হলেও তারা চায় বৃটিশ সংসদকে ঘোষণা দিয়ে বন্ধ রেখে তাদের সুবিধামত ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে। অথচ ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্যদেশসহ বৃটেনের কেউই চায় না কোন নিঃশর্তভাবে ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে। একমাত্র রক্ষনশীলদের একাংশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির উচ্ছিষ্টভোগীরা এ নমুনায় ইউরোপীয়ান ইউনিয়নকে ভেঙ্গে দিতে চায়।
প্রধান বিরুধীদল শ্রমিক দলের প্রধান জেরেমি করবীন ঘোষণা করেছেন কোন অবস্থাতেই সাধারণ মানুষের অধিকার গণতন্ত্রকে এ নমুনায় ভূলুণ্ঠিত হতে দেয়া যাবেনা। এভাবে চলতে থাকলে রক্ষণশীল সরকারের বিরুদ্ধে তার দল অসহযোগ আন্দোলন শুরু করবে।
|