মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। চিরায়ত নিয়মে এবারও মৌলভীবাজারের বাইক্কা বিলে শীতের অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। শীতের ঠিক এই সময়েই অতিথি পাখীরা আসা শুরু করে। সে এক ভিন্নরূপ। পাখীদের কিচির-মিচির শব্দে গভীর রাত অবদি জেগে থাকে পুরো এলাকা। মনলোভা সে দৃশ্য দেখে মনে হবে যে বাইক্কা বিলে অতিথি পাখীদের মেলা বসেছে। বিস্তৃর্ণজুড়ে মুক্ত আকাশে পাখীদের উড়াউড়ি আকাশকে রাঙ্গিয়ে দেয় অব্যক্ত এক ভাবরসে। বিচিত্র রঙ্গে রঙ্গিন হয়ে উঠে গোধূলির আকাশ।
পাখির কিচিরমিচির, বিলের পানিতে ঝাঁপাঝাঁপি আর ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ানো, সেই অনন্য রূপ সৌন্দর্যে সেজে উঠে বিস্তীর্ণ এলাকা। অতিথি পাখীর এমন দলবেঁধে উড়ে বেড়ানো, পাখীর অচেনা মধুর শব্দ আর ডুব সাতারের এমন মনোহর দৃশ্য দেখতে প্রতি বছর এ সময় দল বেঁধে দর্শনার্থীগন এসে ভিড় করেন বাইক্কাবিলে।
এনটিভি’র জেলা প্রতিনিধি উমেদআলী টিভিতে পাঠানো তার এক প্রতিবদনে বলেছেন, অতিথি পাখীর অভয়াশ্রম বলে বাইক্কা বিলের নাম রয়েছে দেশব্যাপী। গত বছর ৪১প্রজাতির শীতের পাখীর দেখা মিলে এই বিলে। এদের মধ্যে পানকৌড়ি, পাতি তেলিহাঁস, বেগুনি কালিম, রাজ সরালি, চকাচকি, বালি হাঁস অন্যতম। তিনি জানান, ২০০৩ সালে চাপড়া, মাগুরা, জাদুরিয়া বিলের ১০০একর জলাভূমিকে বাইক্কাবিল নামের একটি মাছের অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে ওই সময় থেকে বিলটি মাছের পাশাপাশি পাখীরও নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে অভয়ারণ্য হয়ে উঠে। যদিও পাখী শিকারীদের উৎপাত অনেক কম তার পরও একেবারেই যে নেই তা বলা যায় না।
বাইক্কা বিল হাইল হাওরেরই একটি অংশ। বিগত আমলে হাইল হাওরের মাঝ দিয়ে রাস্তা বানিয়ে এমনিতেই হাওরকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ভরাট করে জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে শত শত। ফলে হাওরের আস-পাশে গড়ে উঠেছে বহু খামার ও বাড়ীঘর। এসব রেখে মাছ-পাখীর অভয়ারণ্য কতটুকু সফল হবে তা দেখার বিষয়। এসব সমস্যাকে সামনে রেখেই নতুন করে এখন দাবী উঠেছে বিলের সৌন্দর্য্য রক্ষায় বাইক্কা বিল প্রকল্প চালু, বিল খনন করাসহ বিলের আয়তন বৃদ্ধির।