লণ্ডন।। প্রিন্স হ্যারী ও মেগান মার্কেল। বৃটেনের সাসেক্সের ‘ডিউক আর ডাচেস’ তাদের বৈবাহিক জীবন শুরু করেছেন। পিতা চার্লস পুত্রের বিয়ে উপলক্ষে ঘনিষ্ট আত্মীয়-স্বজনসহ বন্ধু-বান্ধব মিলে ২০০জন অতিথিকে রাজকীয় ‘ফ্রগমোর হাউস’এ খাইয়েছেন।
রাজপরিবারের বিয়ে নিয়ে কত মানুষের কতশত মন্তব্য। কত প্রশ্ন! যা বৃটেনে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। রাজকন্যে আর রাজকুমার কোন রংয়ের কাপড় পড়লো, কোন জাতের গাড়ীতে চড়লো এসব কত কাহানী। রাজপরিবারের বিয়ের অর্থই হলো গোটা বৃটেন উৎসবের আমেজে নানা রঙের গল্প গুজবে কয়েকটাদিন অতিবাহিত করে।
অতএব, প্রিন্স হ্যারির বিয়ে বাদ যাবে কেনো! এ নিয়েও ইউরোপের দেশসহ বৃটিশ রাজত্বের প্রাক্তন সেই উপনিবেশের বহু দেশ তথা আমেরিকা, কানাডা, নিউজিল্যান্ড কিংবা অষ্ট্রেলিয়ার মত দেশগুলোতে গল্পের শেষ নেই। এছাড়াও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ টেলিভিশন ও ইন্টারনেটে হ্যারি ও মেগান মার্কেলের বিয়ের জিন্দা অনুষ্ঠান দেখেছে। বৃটেনের পত্র-পত্রিকার ভাষায় কম করে হলেও বর-কনের গাড়ী শোভাযাত্রায় তাদের দেখার জন্য লাখ খানেকের মত মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসে।
বৃটেনের রাজপরিবার সকলকে তাদের রাজকুমারের বিয়ের আনন্দ উপভোগের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে।
এদিকে এ বিয়েকে নিয়ে সবচেয়ে মজার ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যের ডার্বির আলেকজান্দ্রা হোটেলে। এই হোটেলের সুরিখানায়(পাব) রাজকীয় এ বিয়ে নিয়ে যেকোন ধরনের আলাপ-আলোচনা নিষিদ্ধ করা হয়। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীর জরিমানা করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তি টাঙ্গিয়ে রাখা হয়। পাশেই আর একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যদি কেউ নেহাৎই কিছু মন্তব্য করতে চান তা’হলে পাশে রাখা বাক্সে তার জরিমানার টাকা রেখে মন্তব্য করতে পারেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয় যে জরিমানার এ অর্থ যাবে রয়্যাল ডার্বি হাসপাতালের নাইটিংগেল ক্যান্সার ইউনিটে৷ তথ্যসূত্র: টেলিগ্রাফ ও শীর্ষবিন্দু নিউজ।