লণ্ডন শহরে গৃহহীন যুবক-যুবতীর সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে। এর মূল কারণ, এসকল যুবক-যুবতীরা তাদের নিজের জন্য বাড়ী-ঘর পাচ্ছে না আবার অর্থ সংকটের কারণে বাড়ীঘর রক্ষার সামর্থ্যও তাদের আর নেই। লণ্ডন শহরের প্রতি ৪টি পরিবারের ১টিতে কমপক্ষে ১জন করে(শতকরা ২৬.৮ভাগ) প্রাপ্ত বয়স্ক যুবক-যুবতী তাদের মা-বাবার সাথে বসবাস করছে। “অফিস ফর ন্যাশনেল স্টেটিসটিক্স” এ তথ্যই দিচ্ছে।
২০১১ সাল থেকে ২০২১সাল অবদি সময়ে লাফ দিয়ে এ সংখ্যা শতকরা ২৪.৫ ভাগ বেড়ে যায়। জীবন যাত্রার ব্যয় সংকটকালীন চলমান সময়ে এমন অবিশ্বাস্য প্রবণতা চলমান থাকবে বলেই অভিজ্ঞ মহলের ধারণা, এ ছাড়াও রয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের বাড়ীভাড়া ও বন্ধকী খাতের খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণ, বিশেষ করে রাজধানী শহরে।
“সেন্টার ফর লণ্ডন থিংক টেঙ্ক”এর প্রধান নির্বাহী নিক বোজ বলেন-“গভীর উদ্বেগজনক এই পরিসংখ্যান এই ইঙ্গিতই দেয় যে বাসযোগ্য নগর হিসেবে লণ্ডনের ভবিষ্যত বাজী জেতার মত অনিশ্চিত হয়ে গেছে।” “সস্তা বা সাশ্রয়ী মূল্যের ঘর-বাড়ী নির্মাণের সংখ্যা লণ্ডনে বিপুল পরিমানে বাড়িয়ে দেয়া সম্ভব হলে একমাত্র এ ব্যবস্থাই প্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের বাবা-মায়ের সাথে থাকার প্রবণতা কমাতে পারে যা যথাযতঃভাবে লণ্ডনে বসতবাড়ী সংকট মোকাবেলায় উপযুক্ত ভূমিকা রাখতে পারবে।”