1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
লণ্ডনের শহুরে জীবন - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ অপরাহ্ন

লণ্ডনের শহুরে জীবন

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শুক্রবার, ১৬ মার্চ, ২০১৮
  • ৮১২ পড়া হয়েছে

লণ্ডন।। স্বজনপ্রীতি কোথায় নেই। সবখানেই আছে। এই লন্ডনেও আছে। শুধু, ওই যে কথায় আছে, গরীবের সুন্দর বউ গ্রামের সকলের বৌদি হয়ে যান। ঠিক এভাবেই গরীব দেশের স্বজনপ্রীতি ঢাক-ঢোল বাজিয়ে দুনিয়ার সকলকে শুনাতে হয়। সমস্যা কোথায় নেই। সবখানেই আছে। আর থাকাটাই স্বাভাবিক।
দুনিয়ার যেখানেই হোক সমস্যাতো সমস্যাই। অবশ্য স্থান, কাল, পাত্র ভেদে সমস্যার তারতম্য বা রকমফের হয়। একেক দেশ, রাষ্ট্র ও তার জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ভিত ও সাংস্কৃতিক মনমানসিকতার কারণে সমস্যার রকমফের হয়ে থাকে। দেখা যাবে এক দেশে যখন মানুষ খেতে পাচ্ছে না ঠিক একই সময় অন্য কোন দেশে মানুষের খাবার উচ্ছিস্টের পরিমাণ পাহাড়সম! এক দেশে যখন বারো মাসে তেরো পার্বণ অন্য দেশে তখন রাস্তায় গুলিবিদ্ধ লাশ। এই বৈপরীত্বের মাঝ দিয়েই পৃথিবী চলছে, মানুষ জীবন নিয়ে চলছে। হয়তো চলবে।

অতি সম্প্রতি বৃটেনের কেমডেন শহরের একটি সরকারী বৃদ্ধাবাস(কেয়ার হোম) থেকে একজন বয়স্ক আবাসিক হারিয়ে যান। ৮ ঘন্টা পর তারই অতিপরিচিত অপর একজন পুরানো আবাসিক ভাগ্যক্রমে তাকে রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে দেখে আটকান। কারণ হারিয়ে যাওয়া ওই মানুষটি ‘ডিমেশিয়া’য় ভুগছিলেন এ তার জানা ছিল। কেমডেনের স্থানীয় পত্রিকা বিষয়টিকে বিশাল গুরুত্ব দিয়ে প্রথম পাতায় বড় বড় অক্ষরের শিরোনাম দিয়ে খবর ছাপিয়েছে। খবর পড়লেই বুঝা যাবে এটি এ এলাকার মানুষের জন্য খুব বড় একটি সমস্যা। আর এ নমুনার সমস্যা হবার কথা ছিল না।
এ ঘটনায় কেমডেন শহরের গসপেল ওক এলাকার ‘ওয়েলেসলী রোড কেয়ার হোম’ এর নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। ওই কেয়ার হোমের অপর একজন আবাসিক কথা প্রসঙ্গে বলেন- “আমরা খুবই আশাহত ও উদ্বিগ্ন। চিন্তা করুন যদি হারিয়ে যাওয়া ওই মানুষটি আপরনার কোন ঘনিষ্ট আত্মীয় হতেন, তা’হলে কেমন হতো বিষয়টি!” এতো গুরুতর বিষয় অথচ কেমডেন কাউন্সিলের কর্মকর্তাগন হাত গুটিয়ে বসে থাকতেই ভাল মনে করেন। তারা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে নারাজ। অবশ্য তারা এটুকু বলেছেন যে এই কেয়ার হোমের পরিচালনা বিষয়ে যিনি ঠিকাদার একমাত্র তিনি ও তার কোম্পানীই কিছু বলতে পারে।
হারিয়ে যাওয়া ওই মহিলা গত মঙ্গলবার দিন দুপুরে হোমের ঘর থেকে একা বের হয়ে যান। খবর হয়ে যাবার পর পরই সাথে সাথে একটি অনুসন্ধানী দল গঠন করে খোঁজা শুরু হয়। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তাদের ধারণা হয় যে হারিয়ে যাওয়া ওই মহিলা ২৪নং বাসে চড়ে কোথায়ও গিয়েছেন। কাকতালীয়ভাবে পুরানো পরিচিত ওই ভদ্রলোক মহিলাকে পেয়ে যাওয়ার পরই কাহিনীর সূত্রপাত। এ নিয়ে স্থানীয় পত্রিকা ‘কেমডেন জার্ণাল’ সুদীর্ঘ বিবরণ দিয়ে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। ওয়েলেসলী রোডেরই একজন যিনি কেমডেনের বহু অবসর যাপনকারী মানুষের দেখা-শুনা করে থাকেন, কেমডেন জার্ণালকে জানান যে বহুদিন ধরে ওয়েলেসলী রোডের ওই ‘বৃদ্ধাবাস’টির নিরাপত্ত্বা ব্যবস্থা খুবই নাজুক এবং প্রায় বছর খানেক ধরে পরিচালকদের জানিয়ে আসছি। প্রবেশ দরজা খুবই সহজে খুলা যায়, যে কোন বাসিন্দা যেকোন সময় আসা-যাওয়া করতে পারে, এমন অবস্থায় আছে। এ দরজা বদলানোর প্রয়োজন কিন্তু তা করা হয়নি, সম্ভবতঃ টাকার কারণেই।
জানাগেছে, ওয়েলস ভিত্তিক কোম্পানী “শো হেলথকেয়ার” ওয়েলেসলী রোডের ওই “কেয়ার হোম”টি পরিচালনা করে। বিগত জানুয়ারীতে “কেয়ার কোয়ালিটি কমিশন” এর পরিদর্শনে এই “শো হেলথকেয়ার” কোম্পানী “ভাল” সনদ পেয়েছিল। এই কোম্পানীটি কেমডেন কাউন্সিলের সাথে ৩০ বছরের একটি চুক্তিতে আছে “ওয়েলেসলী রোড কেয়ার হোম” পরিচালনার জন্য। আর তাদের এসব চুক্তি মূলতঃ হয়েছিল ২০০৬-১০সালে যখন লিবারেল ডেমোক্রেট ও রক্ষণশীল দল যৌথভাবে কেমডেনের ক্ষমতায় ছিল। পরে শ্রমিকদল আসার পরও তাদের ওই চুক্তি ঠিকই থাকে। প্রয়োজনীয় যেকোন বয়সী মানুষের দেখাশুনা যত্ন নেয়া ধরনের সেবা কার্যক্রমের উপর প্রবল চাপ আসিলে কেমডেন কাউন্সিল এ কার্যক্রম হয় বন্ধ করে দেয়া বা বিক্রি করে দেয়ার পথ নেয়। ওই সময়ই সেন্ট মার্গারেট ও ব্রাঞ্চ হীল বন্ধ ও বিক্রি হয়। ঠিক এ সময়ই “শো হেলথকেয়ার” কে দায়ীত্ব দেয়া হয় দু’টি নতুন কেয়ার হোম নির্মাণ ও পরিচালনা করার জন্য। যার একটি হল মেইটল্যান্ড পার্ক ও অপরটি ওয়েলেসলী রোড কেয়ার হোম। অথচ এই কোম্পানীই তার কর্মচারীদের বেতন কম দেয়ার অভিযোগে ইউনিয়নের সাথে দেন-দরবারে আছে। জানা যায় এ কোম্পানীর মালিক জেরেমী নিক্সি নামের একজন “চীপ এক্সিকিউটিভ”।
অবশ্য ‘চীপ এক্সিকিউটিভ’এর ওই “শো হেলথকেয়ার” কোম্পানীটি ঘটনার পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলে যে একজন মহিলাকে হোম থেকে বের হয়ে যেতে আর একজন বাসীন্দা সহযোগীতা করেছিলেন। তবে আমাদের তৎপরতায় বের হয়ে যাওয়া ওই মহিলাকে পাওয়া গেছে এবং তিনি নিরাপদে ঘরে ফিরে এসেছেন।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT