সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনসহ
শ্রমিকদের গ্রেফতার এবং বাসদ অফিসে পুলিশের অভিযান ও
নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে
মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ
আজ ৩ নভেম্বর সোমবার বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেট জেলার নেতা অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমনসহ ১৫ জন রিকশা শ্রমিককে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সিলেট জেলা কার্যালয়ে গত ১ নভেম্বর ব্লক রেইড দিয়ে ২২জন শ্রমিকনেতা ও কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও আটকের প্রতিবাদে এবং গ্রেফতারকৃত সকলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট মৌলভীবাজার জেলার বিক্ষোভ সমাবেশ ও সমাবেশ পরবর্তী বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকাল ৫টায় মৌলভীবাজার চৌমুহনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিপিবি জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন এবং সমাবেশ পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিব সূত্রধর। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুক মিয়া, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জেলা সভাপতি জহর লাল দত্ত, বাসদ মৌলভীবাজার জেলা সদস্য বিশ্বজিৎ নন্দী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সভাপতি জ্যোতিষ মোহন্ত। উপস্থিত ছিলেন বাসদ জেলা সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মঈনুর রহমান মগনু, সিপিবি জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলিমেষ ঘোষ বলু, বাসদ জেলা সদস্য হৃদয় অধিকারী, উদীচী জেলা সংসদের সহ-সভাপতি রামেন্দ্র চন্দ্র দাস, যুব ইউনিয়ন জেলা সভাপতি আবু রেজা সিদ্দিকী ইমন প্রমুখ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে আমরা শুনতাম অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ নির্মাণের কথা। কিন্তু প্রশ্ন হলো শ্রমজীবীদের বেকার করে, আধপেটা রেখে, নির্যাতন-নিপীড়ন করে এ কেমন সংস্কার, আর তার অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ব্যবস্থা। সিলেটে অবৈধভাবে ব্যাটারি রিকশা উচ্ছেদের বিরুদ্ধে এবং শ্রমিকদের আন্দোলনে যুক্ত থাকায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাসদ সিলেট জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর ও সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পালকেসহ ৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে অন্যায়ভাবে বিভিন্ন মামলায় যুক্ত করে। দীর্ঘ আইনি লড়াই পরবর্তী নেতৃবৃন্দরা জামিনে মুক্তি পান। সিলেটে রিকশার শ্রমিকদের ন্যায়সংগত আন্দোলনে যুক্ত থাকার অজুহাতে গত ০১ নভেম্বর দিবাগত-রাতে সিপিবি সিলেট জেলার অন্যতম নেতা এবং রিকশা শ্রমিকদের আন্দোলনের নেতা অ্যাড. আনোয়ার হোসেন সুমনকে এবং একই রাতে আর ১৫ জনকে গ্রেফতার করলেন। ১ নভেম্বর দুপুর ১২:৩০টায় পুলিশ অন্যায়ভাবে বাসদ সিলেট কার্যালয়ে ব্লক রেইড দিয়ে প্রবেশ করে পাঠচক্ররত দলের ২২জন শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের গ্রেফতার দেখিয়ে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়। এই গণ-অভ্যুত্থানে ২৪জন রিকশা শ্রমিক জীবন দিলেন, কথা ছিলো এই দেশে বৈষম্য থাকবে না। কিন্তু নতুন নামে এবং নতুন রূপে বৈষম্য এখন আবার সমাজে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
এই সরকারের ভাত দেওয়ার মুরোদ না সে আসছে কিল দেয়ার গোসাই হইতে। সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমন, বাসদ সিলেট জেলা সদস্য মঞ্জুর আহমেদ, সংগ্রাম পরিষদ নগরের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ সহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতৃবৃন্দ এবং শ্রমিকদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ষড়যন্ত্রমূলক সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।