মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। বৃটিশ সংসদে বিরুধীদলীয় শ্রমিক দলের নেতা সাংসদ জেরেমি করবিন বলেছেন প্রধানমন্ত্রী তেরেশা মে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার জন্য যে প্রস্তাবনা নিয়ে লেন-দেন করছেন তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় একটি অতীব খারাপ দেয়া-নেয়া। আগামী সপ্তাহের সংসদ অধিবেশনে শ্রমিক দল পূর্বের মত এর বিরুদ্ধে ভোট দেবে। সরকার যদি তাদের অতীব গুরুত্বপূর্ণ এ প্রস্তাবনাকে পাশ করাতে না পারে তা’হলে সেখানে জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য বিকল্প নেই।
আজ বৃহস্পতিবার ১০ই জানুয়ারী ওয়েকফিল্ড এলাকায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনি যদি আপনার ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় এতই দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী, তা’হলে নির্বাচন দিন। মানুষকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন। তা যদি আপনি না পারেন তা’হলে শ্রমিকদল সঠিক সময়ে আপনার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনবে।”
বিরুধীদলীয় নেতা আবও বলেন, দেশে বিরাজমান দ্বিধাবিভক্তি ‘ব্রেক্সিট’এর পক্ষে আর বিপক্ষে ভোট দেয়া নয়। আমাদের বিভক্তি তাদের মধ্যে, একপক্ষ যারা সারাদিন কাজ করে দেশের সম্পদ তৈরী করে এবং কর প্রদান করে। অন্য পক্ষ যারা আইনকানুন তৈরী করে, অন্যের প্রাপ্য পুরস্কার চুরি করে এবং প্রায়ই কর ফাঁকী দেয়।
তিনি বিভেদের এ বিষয়টিকে সুস্পষ্ট করে বলেন-“দেখুন একজন যদি টোটেনহামে বাস করেন, তিনি অবশ্যই ইউনিয়নে থাকার পক্ষে ভোট দেবেন। কারণ তাকে উচ্চহারে বিভিন্ন বিল পরিশোধ করতে হয়, ফলে তার ঋণ বাড়ে বৈ কমে না, তার কাজের নিরাপত্তা থাকে না। এমন মানুষকে তার পারিশ্রমিকের জন্য সংগ্রাম করতে হয়। সে মানুষকে শ্বাশত ঋণের উপরই থাকতে হয়। এতে করে তাকে ‘ফুড ব্যাঙ্ক’এর উপর নির্ভর করতে বাধ্য করা হয়। তিনি ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার বিরুদ্ধে ভোট দেবেনই।”
যদি একজন ‘মান্সফিল্ড’এ বসবাস করেন খুব সম্ভবতঃ তার অবস্থাও একই হবে। কিন্তু এরা কেউই একে অন্যের বিরুদ্ধে নহে।
এ অবস্থায় মানুষের সমস্বার্থকে কেন্দ্র করে একমাত্র শ্রমিকদলই পারে সকলকে এক হয়ে কাজে এগিয়ে আসার পথে নিয়ে আসতে। একাজে, কে কোন দিকে ভোট দিয়েছে তা মূল বিষয় নয়। মানুষ ভাল করেই বুঝে যে চলমান কৌশল ও পদ্বতি তাদের পক্ষে কাজ করছে না। কারণ এই কর্মকৌশল আর পদ্বতি অধিকাংশ মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে মুষ্টিমেয় মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য।