মুক্তকথা সংগ্রহ।। ঘটনাটি ফিনল্যাণ্ডের। মাত্র ১৬ বছর বয়সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার সুযোগ পেয়েছে এক কিশোরীকন্যা। বিশ্বজুড়ে এই খবর নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেছে। এমন ঘটনা সিনেমায় দেখা যায় ঠিকই কিন্তু সেটিতো সিনেমাই। উপমহাদেশীয় সিনেমায় এমনসব কাহিনী পাওয়া যায় ও দেখা যায়। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ বাস্তব একটি ঘটনা।
তাকে ১ দিনের জন্য আসন ছেড়ে দিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। যিনি নিজেও একজন মহিলা এবং তাঁর রেকর্ড হল তিনিই হলেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। সেই সানা মারিন নিজেই জায়গা ছেড়ে দিলেন পরিবেশ ও মানবাধিকার নিয়ে আওয়াজ তোলা ১৬ বছরের মেয়ে আভা মুর্তো-কে।
খবরটি প্রকাশ করেছে গত ৯ অক্টোবর ২০২০, ‘নীলকণ্ঠ’ অনলাইন। হেলসিঙ্কি থেকে সংবাদ সংস্থার উদৃতি দিয়ে অনলাইনটি লিখেছে- এক ১৬ বছরের মেয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার সুযোগ পেল।
১৬ বছর বয়সেই ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে পারা আভার কাছে স্বপ্নের মত লেগেছে। লিঙ্গ বৈষম্যে ইতি টানতে একটি উদ্যোগ শুরু হয়েছে। ‘গার্লস টেকওভার’ শীর্ষক এই উদ্যোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই কিশোরীদের ১ দিনের জন্য বিভিন্ন সময়ে দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের পদে বসানো হবে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন শীর্ষ পদেও তারা বসার সুযোগ একদিনের জন্য পাবে। যা দিয়ে বিশ্বজুড়ে নারী শক্তির বিকাশের পথ প্রশস্ত হবে।
চলতি বছরে জোর দেওয়া হচ্ছে মেয়েদের ডিজিটাল দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সুযোগের ক্ষেত্রে। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কেনিয়া, পেরু, সুদান ও ভিয়েতনামে।
১ দিনের জন্য ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পর আভা জানিয়েছে, বিষয়টি বেশ খানিকটা মিটলেও এখনও বিশ্বের সর্বত্রই লিঙ্গ বৈষম্য রয়েছে। তা মেটাতে এখনও কাজ করতে হবে।
মারিন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন গত বছর। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩৪ বছর। ৪ দলের জোট ফিনল্যান্ডে সরকার গড়ে। সেই জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন সানা মারিন।
যে ৪টি দলের জোট ফিনল্যান্ডে এখন শাসন করছে তার সবকটি দলেরই প্রধান একজন মহিলা। আর তাঁদের মধ্যে ৩ জনেরই বয়স ৩৫ বছরের কম।
নারী শক্তির বিকাশের ক্ষেত্রে এই শাসক জোটকে এক আদর্শ উদাহরণ মানছেন অনেকে। যারা আগামী দিনে বিশ্বজুড়ে লিঙ্গ বৈষম্য মোছার কাজও জোরকদমে করছে। সূত্র: —’নীলকণ্ঠ’ অনলাইন