উপরের ছবির মাছটির নাম সাকার ফিস(Sucker Fish)। এর বৈজ্ঞানিক নাম Hypostomus Plecostomus. বিভিন্ন সংবাদসূত্রে দেখা গেছে সারা দেশে এ মাছের প্রসার ঘটেছে উল্লেখযোগ্যভাবে এবং এর বংশবিস্তার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দেশের অধিকাংশ জেলার নদ-নদীতে এ মাছ নিয়তই পাওয়া যাচ্ছে। যতদূর জানা গেছে মাছটি বুড়িগঙ্গার মতো দূষিত পানিতেও টিকে থাকতে পারে এবং খুব দ্রুত প্রজননও ঘটাতে সক্ষম। পাশাপাশি মানুষ এ মাছ না খাওয়ায় এটির বিস্তার বেড়েই চলেছে ও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
সাকার দেশীয় প্রজাতির মাছের ডিম ও রেণু খেয়ে মাছের বংশবিস্তারে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এ মাছ যেকোনো পরিবেশে বাঁচতে পারে এবং দ্রুত বংশবৃদ্ধির কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছের সঙ্গে খাদ্য ও বাসস্থান নিয়ে প্রতিযোগিতা করে। মাছটি খাওয়া যায় না। সর্বোপরি সাকার মাছ জলজ জীববৈচিত্র্য নষ্ট করে। এমনকি এই মাছ ফ্রিজে বরফ বানিয়ে ফেললেও, অনেকদিন পর তা বের করে বরফ গলালে মাছ নড়াচড়া শুরু করে।
মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মতে, সাকার মাছ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় এখন চাইলে মানুষ আর মাছটি আমদানি, অ্যাকুয়ারিয়ামে পালন বা বিক্রি কিংবা প্রজনন কিছুই করতে পারবেন না। তবে যেহেতু মাছটি আগে থেকেই ছড়িয়ে এসেছে, সেক্ষেত্রে এখন সবার এই বিষয়টি জরুরি ভাবে দেখা উচিত।
সাকার মাছ এর জন্য অদূর ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারি আমরা। তাই, কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই বিষয়ে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করছি, সেই সাথে আপনারা যারা পুকুর চাষ করে থাকেন তারাও মাছটি যাতে কোনোভাবে পুকুরে প্রবেশ না করতে পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকুন।[কোড়া থেকে]