মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ।। পর্যটন ও প্রবাসী অধ্যুষিত মৌলভীবাজারে বৃহস্পতিবার রেকর্ডসংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জেলা সিভিল সার্জন জানায়, সারা জেলা জুড়ে সাংবাদিকসহ মোট ২২ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। পুরানো করোনায় আক্রান্ত আরো ৫ ব্যক্তির নতুন করে শ^াসনালীর নমূনা সংগ্রহ করে পাঠানোর পর আবার তাদের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। আক্রান্তগণ হচ্ছেন নতুন দিন পত্রিকার কমলগঞ্জ প্রতিনিধি সাংবাদিক আলমগীর হোসেন,বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ৩জন,নার্সসহ আরো বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নারী পুরুষ। এদিকে আগের আক্রান্ত ৬১ জনসহ নতুন আক্রান্ত মিলে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৮৩জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ২জন, কমলগঞ্জে ১০ জন, রাজনগরে ২জন, বড়লেখায় ৩জন, শ্রীমঙ্গলে ১জন ও জুড়ী উপজেলায় ৪জন। জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ তওহীদ আহমদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, নতুন করে মৌলভীবাজারে ২২ জনের দেহে কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, পুরোনো আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৮জন সুস্থ হয়েছেন। করোনায় মারা গেছেন ২জন। সিভিল সার্জন আরো জানান, যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের চিকিৎসা সেবার আওতাসহ বেশ কিছু নিয়ম-নীতি জোরধার করা হচ্ছে।
মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। মৌলভীবাজারে করোনা সংকট মোকাবিলায় ৫শ দুস্থ-কর্মহীন পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি। আজ (মঙ্গলবার)দুপুরে মৌলভীবাজার রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের উদ্যোগে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জেলা ইউনিটের কার্যালয় প্রাঙ্গনে শীল সম্প্রদায়ের কর্মহীন পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে।
শীল সম্প্রদায়ের কর্মহীন পরিবারের মধ্যে এসব খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন রেডক্রিসেন্ট মৌলভীবাজার ইউনিটের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রেডক্রিসেন্ট মৌলভীবাজার ইউনিটের সাধারন সম্পাদক আজমল হোসেন, জেলা যুবলীগ সভাপতি ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি আজীবন সদস্য নাহিদ আহমদ, ইউনিট লেভেল অফিসার মো. মহসীন,রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের কাযকরি কমিটির সদস্য হাসান আহমেদ জাবেদ , সজীব হাসান সৈয়দা জেরিন আক্তার, যুব প্রধান কামরুল ইসলাম মুন্নাসহ যুব ইউনিটের সদস্যরা।
আসন্ন ঈদের পূর্ব পযন্ত জেলায় মোট ৫শ হতদরিদ্র ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়।
এ সময় রেডক্রিসেন্ট মৌলভীবাজার ইউনিটের সাধারন সম্পাদক আজমল হোসেন বলেন করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট মৌলভীবাজারের উদ্যোগে ২য় বারের মতো দুস্থদের মাঝে ত্রান বিতরন করা হচ্ছে। এছাড়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান জেলাপরিষদ থেকে প্রাপ্ত উনার সম্মানীর অর্ধেক টাকা ত্রান বিতরনের জন্য দিয়েছেন। করোনা প্রতিরোধ ও দুস্থদের মধ্যে ত্রান বিতরনে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি মৌলভীবাজার ইউনিট সাধ্য মত কাজ করে যাচ্ছে।
বিশেষ প্রতিনিধি।। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দৈনিক মৌমাছি কন্ঠ পরিবারের পক্ষ থেকে ঈদ সামগ্রী দিলেন লন্ডন প্রবাসী ও হামদান সমাজ কল্যান পরিষদের সভাপতি এম এ কাইয়ুম তালুকদার। পবিত্র ইদুল ফিতর উপলক্ষে ১০০মানুষকে ঈদ সামগ্রী দিলেন দেয়া হয়।
আজ বৃহষ্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে ঈদ সামগ্রী ও নগদ টাকার বিতরন অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো: ফজলুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সাধারন সম্পাদক পান্না দত্ত, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বকসি ইকবাল আহমদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এস এম উমেদ আলী, দৈনিক মৌমাছি কন্ঠ পত্রিকার ডিরেক্টর ডা: এ কে এম জিল্লুল হক, সৈয়দ তফজ্জুল হোসেন, মৌলভীবাজার২৪.কম-এর সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রাহেল প্রমুখ।
এসময় পৌর মেয়র ফজলুর রহমান বলেন, দেশে এই দুর্যোগ মূহুর্তে দৈনিক মৌমাছি কন্ঠ পত্রিকা ও পত্রিকার ডিরেক্টর লন্ডন প্রবাসী এম এ কাইয়ুম তালুকদার আজ যেভাবে অসহায়, অসচ্ছল, দুস্থ, হত দরীদ্রদের মাঝে যে ঈদ সামগ্রী দিলেন তা প্রশংসার দাবিদার। আমি মনে করি সরকারের পাশাপাশি প্রবাসী ও দেশে যারা বিত্তবান রয়েছেন তারা ক্ষুদ্র পরিসরেও যদি এভাবে এগ্রিয়ে আসেন তা’হলে কোন মানুষ না খেয়ে মরবেনা। তিনি আরো বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকেও আমরা অসহায় মানুষের পাশে খাদ্যসামগ্রী প্রদান করে আসছি এবং আমাদের সহযোগীতা অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে বিকেলে দৈনিক মৌমাছি কন্ঠ ও হামাদান পরিবারের পক্ষ থেকে মৌলভীবাজার শহরের পশ্চিমবাজার ও সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অসহায়, অসচ্ছল মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরন করেন শাহ আলাউদ্দিন, হামদান এর সহসভাপতি- সৈয়দ শাহীন আহমদ, প্রচার সম্পাদক- ইউনুছ সিদ্দিকি, সাধারন সম্পাদক- সৈয়দ তারেকুল হামিদ, সহ সাধারন সম্পাদক- মাওলানা আমিনুল ইসলাম, শেখ দুদু আহমদ, এমদাদুল হোসেন, নাহিম তালুকদার, মোস্তাকিম তালুকদার, খলিল মিয়া, রাহিন প্রমুখ।
মামুনূর রশীদ মহসিন।।
বিশ্ব পুঁজিবাদের এখন লেজেগোবরে অবস্থা। তাদের সৃষ্ট সর্বনাশা করোণা ভাইরাস, সারা বিশ্বে যুদ্ধের চেয়েও বহুগুন ভয়াবহ সন্ত্রাসের জন্ম দিয়েছে। দুনিয়ার বিপন্ন সাধারণ মানুষ করোণার এ আক্রমণে দিশেহারা। বাংলাদেশে প্রকট আকারে কিছু না ঘটলেও দিন দিন ‘করোণা’ বিস্তারলাভ করে চলেছে। ফলে ‘লগডাউনে’ থাকা খেটে খাওয়া বিপন্ন মানুষের দৈনন্দিন জীবন বিপর্যস্ত। বহু বেলা উপোসেই কাটাতে হচ্ছে। চোখে দেখছেন অন্ধকার। প্রচারের তুলনায় সাহায্য সহায়তার পরিমান কম। সহায়তা যাদের প্রাপ্য তাদের হাতে খুব কমই পৌঁচুচ্ছে। এদিকে মহান পবিত্র ঈদ একেবারেই কাছে। সে বিবেচনায় আরো ব্যাপক সাহায্য সহযোগীতার প্রয়োজন।
সারা দেশের এমন নাজুক অবস্থায় সরকারের পাশাপাশি বহু মানবতাবাদী সংস্থা-সমিতি সাহায্য সহায়তার উদার হাত বাড়িয়ে এসেছে। দেশের কোন না কোন জায়গায় চলছে নিরন্তর সহায়তা সেবা। কিন্তু এতো কিছুর পরও পর্যবেক্ষকদের মতে আরো বেশী সাহায্য সহযোগীতার প্রয়োজন।
প্রয়োজনের এমন তাগিদেই খুবই অল্প পরিমানে হলেও ৩য় দফায় এগিয়ে এলো ‘রহিমুন্নেছা ওয়াছিল ট্রাষ্ট’ ও সাপ্তাহিক মুক্তকথা। গতকাল বুধবার ২০মে সদর উপজেলার কনকপুর গ্রামের ৩০টি হতদরীদ্র পরিবারকে নগদ ১০০০টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়। খেটে খাওয়া হতদরীদ্র মানুষগুলোর ঈদুল-ফিতর উপলক্ষ্যে মুক্তকথা ও ‘রহিমুন্নেছা ওয়াছিল ট্রাষ্ট’ এ পদক্ষেপ গ্রহন করে। ২০মে বুধবার দুপুর ১২টায় ঈদ উপহার হিসেবে কনকপুর গ্রামের গরীব নিঃস্ব ৩০টি পরিবারের হাতে নগদ এ অর্থ তুলে দেয়া হয়। গ্রামের ৩০টি পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন রহিমুন্নেছা-ওয়াছিল ট্রাষ্টের নির্বাহীগনের পক্ষে হিসাব রক্ষক সাংবাদিক হুমাইউন রশীদ ও মুক্তকথা’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মামুনূর রশীদ।
উল্লেখ যোগ্য যে, ইতিপূর্বে মহামারী করোণার ভয়াবহতাকে চিন্তায় রেখে “রহিমুন্নেছা ওয়াছিল ট্রাস্ট” মৌলভীবাজার জেলা শহরের পৌর এলাকার ১ন ওয়ার্ডে দুই দফায় প্রায় ৬০টি হতদরীদ্র পরিবারকে দৈনন্দিন খাদ্য সামগ্রী উপহার দেয়। আগামীতেও আরো সহায়তার তথ্য সংগ্রহ চলছে বলে ট্রাস্ট ও পত্রিকা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। তাদের এমন উপহার বন্টন প্রতিবছরই মানুষ ও মানবতার কল্যাণে অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।