মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের পক্ষের মানুষ, সময়ের বলিষ্ট বাম ছাত্র-রাজনীতিক, বৃটেনে বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এহিয়া খান মতি আর নেই।(ইন্না লিল্লাহে…রাজেউন)। গতকাল সোমবার ১৯ অক্টোবর লণ্ডনের সাটন শহরের সেন্ট ইলিয়ার হাসপাতালে রাত আনুমানিক ৮টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি করোণা’য় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
|
মতি খান, সাতের দশকের শুরুতে তদানিন্তন পাকিস্তানের ছাত্র রাজনীতিতে মৌলভীবাজার মহকুমা ছাত্রইউনিয়নের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সে সময় মৌলভীবাজারে সংগঠিত মৌলভীবাজার মহকুমা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের তিনি ছিলেন একজন সক্রিয় সদস্য। সাতের দশকের মাঝা-মাঝি সময়ে তিনি মৌলভীবাজার মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষে ‘ভিপি’ পদে প্রতিযোগীতা করেন। এ সময় তার নির্বাচনী দলের(প্যানেল) সাথে তার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতা করেছিলেন সে সময়ের খ্যাতিমান সংগ্রামী ছাত্র ইউনিয়ন নেতা আলাউর রহমান চৌধুরী। প্রয়াত ইয়াহিয়া খান মতি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের একজন আজীবন সদস্য বলে জানালেন মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি সাংবাদিক আব্দুস সালাম।
আশির দশকের শুরুতে মরহুম মতিখান বৃটেনে চলে আসেন। পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের সাথে মিলে গড়ে তুলেন রেঁস্তোরা। ব্যবসায় মনোযোগী হয়ে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। বাংলাদেশে অন্যান্য অংশীদারের সাথে মিলে গড়ে তোলেন ‘কোয়ালিটি গ্রুপস অব বিজনেস লিঃ’ ও ‘এলায়েন্স বাগস লিঃ’। এতো সবের মাঝেও কিন্তু রাজনীতির ধারা বদলাননি কখনও। ছাত্রইউনিয়নের বাম ধারার রাজনীতিকে লালন করে গেছেন আমৃত্যু। মৃত্যুকালে তিনি ২ছেলে, ১মেয়ে ও নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব রেখে গেছেন। তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৭৫ বছর।
তার মৃত্যুতে আমরা মুক্তকথার পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক সমবেদনা।
|