মৌলভীবাজার অফিস।। তারা বলেছেন মহান মে দিবস- আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস, সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণীর ঐক্য ও সংহতি প্রকাশের দিন। মহান মে দিবস উপলক্ষে ১ মে সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণী ছুটি ভোগ করে থাকেন। বাংলাদেশের সর্বস্তরের সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীরা এমন কি ঢাকা, সিলেটসহ দেশের অধিকাংশ জেলার হোটেল শ্রমিকরা ছুটি ভোগ করলেও আমরা শেরপুরের হোটেল শ্রমিকরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছি। আমাদের চাকরীর যেমন নেই নিশ্চয়তা, তেমনই বাচাঁর মত মজুরিরও নিশ্চয়তা নেই, নেই কাজের জীবন শেষে খেয়ে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা।
মহান মে দিবসে পান্থাবাস-সরাইখানা(হোটেল-রেস্তোরাঁ) ব্যবসায় বেতনসহ সর্বাত্মক ছুটির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে কুশিয়ারানদী তীরস্থ শেরপুরে। মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্ট ২৩০৫-এর শেরপুর আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেরপুর বাইপাস রোডস্থ কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা সমবেত হয়ে মিছিল বের করে গোলচত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে যাত্রী ছাউনীর সামনে এক সমাবেশ করে।
শ্রমিকগন সমাবেশে আরও বলেন, বর্তমানে আমরা যে মজুরি পাই তা দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মাসের ১০ দিন চালানো দায়। শ্রম আইনে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ ও বাসস্থানের বিধান থাকলেও শ্রমিকরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে ও থাকতে বাধ্য হন। শ্রমিকগন সভায়, সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরির গেজেট কার্যকর, শ্রমিকদের জন্য রেশনিং চালু, ৮ ঘন্টা কর্ম দিবস, নিয়োগ পত্র, পরিচয় পত্রসহ শ্রম আইন বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছেন।
হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের শেরপুর আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি শংকর দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল, শেরপুর হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন ও রোমেল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এম ডি দোলাল আহমেদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ আমরুল হোসেন।