এখন বন্যপশু ব্যবহার করে চাঁদাবাজি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মাহুত নামধারী চাঁদাবাজরা প্রকাশ্য দিবালোকে হাতি দিয়ে দোকান, ফুটপাত, রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে জোর করে টাকা আদায় করছে। এমনকি গ্রামাঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে গিয়েও টাকা আদায় করতে বাকি রাখে না তারা। বন্যপ্রাণী লোকালয়ে এনে এভাবে ব্যবহার করা আইনত নিষিদ্ধ হলেও প্রশাসনের নির্লিপ্ততার সুযোগ নিয়ে চলছে এ চাঁদাবাজি।
মঙ্গলবার(২৫ জুন) উপজেলার পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের কমলগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কে হাতি দিয়ে টাকা উত্তোলনের এ দৃশ্য দেখা যায়। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে হাতি শুঁড় উঁচু করে চালকদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে।
অটোরিক্সা চালক শিমুল মিয়া বলেন, হাতি শুঁড় উঁচিয়ে টাকা চাচ্ছে। ১০ টাকা দিলে নিচ্ছে না। কমপক্ষে ২০ টাকা দিতে হচ্ছে। হাতি দিয়ে এই চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়া দরকার। চালকদের রাস্তা আটকিয়ে ভয় দেখিয়ে এভাবে টাকা আদায় করা এক ধরনের অত্যাচার।
স্থানীয় সংবাদকর্মী সালাহউদ্দিন শুভ বলেন, সংবাদের জন্য তিনি ছবি তুলতে গেলে মাহুত কৌশলে হাতি দিয়ে তাড়া করায়। তাই সামনে থেকে ছবি তুলতে পারেননি তিনি। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
হাতির পিঠে থাকা মাহুত জানালেন, হাতিটির মালিক উপজেলার ইসলামপুরের। টাকা কেন উত্তোলন করছেন এবিষয় জানতে চাইলে তিনি হাতি নিয়ে কৌশলে চলে যান।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, হাতি দিয়ে টাকা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।