1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
গত কাল চলে গেলো সুভাষ দত্তের প্রয়াণ দিবস - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন

গত কাল চলে গেলো সুভাষ দত্তের প্রয়াণ দিবস

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০
  • ২৬৮ পড়া হয়েছে

মুক্তকথা সংগ্রহ।।  গত কাল ছিল ১৬ নভেম্বর। খুব নীরবে চলে গেলো বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম দিকপাল, অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক সুভাষ দত্তের প্রায়াণ দিবস!
বিভিন্ন গণমাধ্যম চষে যতদূর জানা যায়, সুভাষ দত্তের জন্ম- ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০ আর মৃত্যু- ১৬ নভেম্বর, ২০১২। সুভাষ দত্ত ছিলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের এক উজ্জ্বল ধ্রুবতারা। তিনি একাধারে ছিলেন অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও শিল্প নির্দেশক। পাকিস্তানী আমলে উর্দূর সাথে বাংলা শব্দ মিশ্রিত জগাখিচুরী ভাষার চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি সুভাষদত্তদের মত কিছু লোক স্বচ্ছ বাংলায় চলচ্চিত্র নির্মাণের পথে খুব নিবেদিত হয়ে এগিয়ে চলার চেষ্টা করেছিলেন এবং করে গেছেন আমৃত্যু। তাদের অন্যতম ছিলেন আরেক দিকপাল প্রয়াত জহীর রায়হান।
শুনা যায়, সিনেমার পোষ্টার এঁকেই শুরু হয়েছিল তার কর্মজীবন। সেই ষাটের দশকেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন ঢাকার বাংলা সিনেমার পরিচিত মুখ।
ঢাকার প্রথম বাংলা সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ-এর পোস্টার ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। জীবনের প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন এহতেশাম পরিচালিত ‘এ দেশ তোমার আমার’ ছবিতে। তার পরিচালনা জীবন শুরু হয়েছিল  মাটির পাহাড় চলচ্চিত্রে শিল্প নির্দেশনার মধ্য দিয়ে। ১৯৬৪ সালে তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র সুতরাং বাজারে এসেছিল। ২০০৮ সালে বাজারে এসেছিল তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘ও আমার ছেলে’।
১৯৩০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের মুনশিপাড়া নামক স্থানে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সুভাষ দত্ত। তার পৈতৃক বাড়ী বগুড়া জেলার চকরতি গ্রামে। পরবর্তীতে ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের নিজ বাড়িতেই তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতেন।
ফেইচবুকে বদিউল আলম সুভাষ দত্তকে নিয়ে খুব মনোগ্রাহী ভাষায় লিখেছেন। আমরা সেখান থেকে আমাদের পছন্দসই তথ্যগুলো ধার করে সূচনা দাড় করিয়েছি। বাকীটা হুবহু এখানে তুলে দিয়েছি।
বদিউল আলম:- স্ত্রী সীমা দত্ত ২০০১ সালের অক্টোবরে পরলোকগমন করেন ।মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে, দুই মেয়ে, পুত্র-পুত্রবধূ, নাতি নাতনী রেখে গেছেন। বড় ছেলে শিবাজী দত্ত দেশে থাকেন, আর ছোট ছেলে রানাজী দত্ত থাকেন সুইডেনে। বড় মেয়ে শিল্পী দত্ত বরিশাল এবং ছোট মেয়ে শতাব্দী দত্ত রংপুর স্বামীর বাড়িতে। শ্রী সুভাষ দত্তের ভাই বোনেরা ৫ জনঃ শ্রী সুভাষ দত্ত[সবার বড়], শ্রীমতি আরতী ধাম[মৃত, সন্তানাদি ভারতে বসবাস করছেন], শ্রী বিকাশ দত্ত[সুভাষ দত্তের ইউনিটের প্রধান সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন তার জীবনের সর্বশেষ ছবি পর্যন্ত, স্ত্রী পুত্র কন্যা সমেত একই ভবনের আলাদা ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন], গীতু তরফদার এবং ডাঃ শ্রীমতি ঝরনা দত্ত[পেশায় চিকিৎসক, সুভাষ দত্তের মৃত্যু অবধি তার পাশে ছিলেন]।
চলচ্চিত্র জীবনঃ
সুভাষ দত্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান ও সুশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও চলচ্চিত্র নির্মাণের কৌশল শিখতে ভারতের বোম্বেতে গিয়ে পঞ্চাশের দশকের গোড়ার দিকে একটি ছায়াছবির পাবলিসিটির ষ্টুডিওতে মাত্র ত্রিশ টাকা মাসিক বেতনে কাজ শুরু করেন। ১৯৫৩ সালে ভারত থেকে ঢাকায় ফিরে যোগ দেন প্রচার সংস্থা এভারগ্রিন-এ। এরপর তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন চলচ্চিত্রের পোস্টার আঁকার কাজের মাধ্যমে। ১৯৫৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ দেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ-এর পোস্টার ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশাম এর এ দেশ তোমার আমার চলচ্চিত্রে একজন দুষ্ট নায়েব[কানুলাল] এর ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। এটি মুক্তি পায় ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি। ষাটের দশকের শুরুর দিকে নির্মিত বহুল আলোচিত হারানো দিন চলচ্চিত্রেও তিনি অভিনয় করেছিলেন। মুস্তাফিজ পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি লাভ করে ৪ আগস্ট, ১৯৬১ এবং এটি বাংলা ভাষার প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে এক পেক্ষাগৃহে পঁচিশ সপ্তাহ প্রদর্শনের রেকর্ড তৈরী করে। এরপর তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে তিনি কৌতুকাভিনেতা হিসেবে অভিনয় করেও বেশ প্রশংসা অর্জন করেছিলেন।
১৯৫৭ সালে ভারতের হাই কমিশনের উদ্যোগে একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে ওয়ারিতে। সেখানে দেখানো হয় সত্যজিৎ রায়’র পথের পাঁচালী চলচ্চিত্রটি। এবং পথের পাঁচালী দেখেই তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুপ্রাণিত হন।
১৯৬৩ সালের মে মাসে তিনি নির্মাণ শুরু করেন সুতরাং চলচ্চিত্রটি এবং ১৯৬৪ সালে এটি মুক্তি দেন। এর প্রধান অভিনেতা হিসেবে তিনি অভিনয় করেন সেই সময়কার নবাগতা অভিনেত্রী কবরী’র বিপরীতে। এবং এটি বাংলাদেশের প্রথন চলচ্চিত্র হিসেবে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সম্মাননা লাভ করেছিল। ১৯৬৮ সালে জহুরুল হক ও প্রশান্ত নিয়োগির লেখা কাহিনী নিয়ে আবির্ভাব চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন সুভাষ দত্ত এবং ছবির একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন তিনি। একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী একবার আটক করে সুভাষ দত্তকে। তবে কয়েকটি উর্দু ছবিতেও অভিনয় করার কারণে তখন পাকিস্তানেও তিনি পরিচিত মুখ। সেই সুবাদে সেদিন পাকিস্তানি ক্যাপ্টেন তাকে ছেড়ে দিতে বলেন। এবং প্রাণে বেঁচে যান সুভাষ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিতে নির্মাণ করেন অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী, যাকে তার বানানো অন্যতম সেরা ছবি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭৭ সালে আলাউদ্দিন আল আজাদের বিখ্যাত উপন্যাস ‘২৩ নম্বর তৈলচিত্র’ অবলম্বনে বসুন্ধরা নামের যে চলচ্চিত্রটি সুভাষ দত্ত নির্মাণ করেন— তা আজো চলচ্চিত্র সমালোচকদের আলোচনার বিষয়। সত্তর দশকের শেষের দিকে ডক্টর আশরাফ সিদ্দিকীর লেখা গল্প গলির ধারের ছেলেটি অবলম্বনে তিনি নির্মাণ করছিলেন ডুমুরের ফুল চলচ্চিত্রটি। এ দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে তিনি একাধারে চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও শিল্প নির্দেশক ছিলেন। এবং এর প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছিল তার সৃজনশীল কর্মের ঈর্ষণীয় সাফল্য।
মঞ্চনাটকঃ
চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি প্রচুর মঞ্চনাটকে অভিনয় করেছেন। এরমধ্যে ঢাকার আরণ্যক নাট্যদলের প্রথম প্রযোজনা কবর নাটকে তার প্রথম মঞ্চাভিনয় ১৯৭২ সালে! ২০১২ সালের ১৬ নভেম্বর সুভাষ দত্ত মৃত্যুবরণ করেন!
সৌজন্যে : বদিউল আলম

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT