বাংলাদেশ সার্ভিস রুলের নির্দেশনাকে অমান্য করে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী অঞ্জু রানী দেব ডরমেটরীতে সরকারি এসি লাগিয়েছেন। তার এসি বিলাসের দুঃসাহস দেখে হতভম্ব জেলার সচেতন মহল। প্রধান সহকারী’র এসি বিলাসে বাড়ছে জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ বিল।
জেলার সচেতন মহল বলছেন, চলমান বিদ্যুৎ সংকটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদ্যুতের এমন অপচয় লোডশোডিং-এর যন্ত্রনাকে আরো বাড়িয়ে দেয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী অঞ্জু রানী দেব জেলা পরিষদ পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাম ডরমেটরী’র দ্বিতীয় তলায় ব্যাচলর থাকেন। সম্প্রতি তিনি জেলা পরিষদ ডাকবাংলো রাজনগর উপজেলা থেকে একটি এসি এনে নিজের রুমে লাগিয়েছেন।
এবিষয়ে জানতে সরেজমিন জেলা পরিষদ ডাকবাংলো রাজনগরে গেলে কেয়ারটেকার সাইফুর বলেন, ৬ জুন জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী অঞ্জু রানী দেব ম্যাডাম আমাকে ফোন করে বলেন ডাক বাংলার ভিআইপি রুমের জন্য রাখা দুটি এসির মধ্যে গ্রি নামে এসিটি জেলা পরিষদে নিয়ে যাওয়ার জন্য। পরের দিন ৭জুন সিএনজিতে করে আমি এসি নিয়ে যাই এবং ম্যাডামের মাধ্যমে ইলেকট্রিশিয়ান পিয়াসকে বুঝিয়ে দেই। ম্যাডাম আমাকে গাড়ি ভাড়া বাবত ৩’শ টাকা দিলে আমি চলে আসি। পরবর্তীতে এটা কি কাজে লাগছে বলতে পারছি না।
একটি সূত্র জানায়, পরবর্তীতে প্রধান সহকারী অঞ্জু রানী দেব এর নির্দেশে ইলেকট্রিশিয়ান পিয়াস ও অফিস সহায়ক পিযুষ দেব এসি লাগান।
এবিষয়ে প্রধান সহকারী অঞ্জু রানী দেব বলেন, আমার সঠিক মনে নেই কত তারিখ লাগানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের আলোকে লাগানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আপনি একাউন্টেনট সাহেবের সাথে কথা বলেন।
মৌলভীবাজার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, সরকারি ভাবে ডরমেটরীতে এসি লাগানোর কোনো সুযোগ নেই।
জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মল্লিকা দে’র সরকারি নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এক পর্যায়ে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।