মামুনূর রশীদ মহসিন।। বিগত পনেরো বছর ধরে মৌলভীবাজারে দু’টি ঈদের নামাজই স্থানীয়দের সাথে মিল না রেখে একদিন আগে পড়া হয়ে আসছে। এই নামাজের যিনি উদ্যোক্তা তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এ নামাজ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে এখানে পড়া হয়ে থাকে। গেল ২৪মে মৌলভীবাজারের প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবারের মুসল্লিগন ঈদ উল ফিতরের নামাজ পড়লেন একদিন আগে। ওই দিন রোববার সকাল ৫ ঘটিকার সময় মৌলভীবাজারের সার্কিট হাউস এলাকার আহমেদ শাবিস্তা নামে এক বাসার ছাদে এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নারী ও পুরুষ এক সাথে মিলে নামাজ আদায় করেন। ব্যতিক্রমী সময়ের এই ঈদের নামাজ পরিচালনা( ইমামতি) করেন আলহাজ্ব আব্দুল মাওফিক চৌধূরী। সময়ের ভিন্নতায় পরিচালিত এই বিশেষ নামাজের বিষয়ে জানতে চাইলে, মাওফিক চৌধুরী বলেন, ১৫ বছর ধরে তিনি ঈদের এই ব্যতিক্রমী সময়ের নামাজের ইমামতি করে আসছেন। উল্লেখ প্রয়োজন যে, মাওফিক চৌধুরী জেলার কুলাউড়া উপজেলার মানুষ। তিনি বড় হয়েছেন মৌলভীবাজার শহরেই এবং স্থায়ীভাবে মৌলভীবাজার পৌরসভায়ই বসবাস করে আসছেন। তার বাবা প্রয়াত আব্দুল মুঈদ চৌধুরী ছিলেন মৌলভীবাজার স্থানীয় সরকারের(প্রাক্তন ‘লোক্যালবোর্ড’ বর্তমান জেলাপরিষদ) প্রধান কর্মাধ্যক্ষ।
মাওফিক চৌধুরী একজনকে অনুসরণ করেন। তিনি তার নাম বলতে চান না। মাওফিক চৌধুরীর সেই গুরু বা শিক্ষকের বাস আসাম, ভারতের উজাণ্ডিতে। তিনি উজাণ্ডির পীরসাহেব বলেই সমধিক খ্যাত। মাওফিক চৌধুরী তারই শিষ্য!