1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
এ জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৬২ হাজার পশু, রোগে আক্রান্ত নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ অপরাহ্ন

এ জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৬২ হাজার পশু, রোগে আক্রান্ত নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

সৈয়দ বয়তুল আলী
  • প্রকাশকাল : সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩
  • ৪৪২ পড়া হয়েছে

আসন্ন ঈদে কাটার জন্য এ জেলায় প্রস্তুত রয়েছে-

গরু ৪৩ হাজার ৬১৮টি ও  ২ হাজার ৪২২টি মহিষ

ছাগল-ভেড়া ১৫ হাজার ৯২২টি

মোট ৬২ হাজার ৫২টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মৌলভীবাজার জেলায় ৬২ হাজার ৫২টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে গরু ৪৩ হাজার ৬১৮, মহিষ ২ হাজার ৪২২ ও ছাগল-ভেড়া ১৫ হাজার ৯২২টি পশু প্রস্তুত রয়েছে বলে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। আরো জানা যায়, খামারি ও পারিবারিকভাবে এসব পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। বাড়তি লাভের আশায় বাড়িতে বাড়িতে পশুর বাড়তি যত্ন আর লালন-পালনে নারী-পুরুষ মিলে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও পারিবারিক খামারি পরিবারগুলো।

এদিকে, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার খামারি ও কৃষকরা। বেশি দামে খাদ্য খাওয়ায়ে বাজারে পশুর ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা।

কৃষক ও খামারিরা জানান, কেউ বাড়ির গোয়ালে আবার কেউ পারিবারিক খামারে এসব পশু মোটাতাজা করছেন। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সবুজ ঘাস খাইয়ে পশু মোটাতাজা করছেন তারা। জেলার ছোট-বড় পারিবারিক পশুর খামারে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আসন্ন কোরবানির ঈদে এসব পশু বিক্রি করে বাড়তি আয়ের আশা করছেন তারা।

অন্যান্য পশু চাষিরা জানান, পশু পালনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে কেউ খামার করতে আগ্রহী হচ্ছেন না। বাজারের গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়াই খরচ অনেক বেড়ে গেছে। হাটে পশুর বাজার ভালো না হলে তাদেরকে লোকসান গুনতে হবে।

ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত কয়েক’শ গরু চর্মরোগে আক্রান্ত

অপরদিকে, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কোরবানির আগে ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ'(এলএসডি) বা চর্মরোগে কয়েকশ গরু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে কৃষক ও খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ও কর্মধা ইউনিয়নে গরু লাম্পি স্কিনে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। ওই এলাকার দেওগাঁও গ্রামের কয়েছ আহমদ জানান, তিনি কোরবানির ঈদের জন্য গরু পালন করছেন। এখন গরুর গায়ে চর্মরোগ দেখা দেওয়ায় বিক্রি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

শাহিন মিয়া নামে অপর এক কৃষক জানান, কয়েকদিন আগে তার গরুর লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দেয়। সারা গায়ে প্রচুর দাগ হয়েছে। নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়া হলেও রোগ সারেনি।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এটি একধরনের চর্মরোগ। এলএসডি বা লাম্পি স্কিন হলে গরুর মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। এ রোগে আক্রান্ত হলে গরু বা বাছুর প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয়। পরে খাওয়া বন্ধ করে দেয়। জ্বরের সঙ্গে মুখ ও নাক দিয়ে লালা বের হয় এবং পা ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

মৌলভীবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস ছামাদ জানান, জেলায় কোরবানির চাহিদার তুলনায় বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অফিসের তত্ত্বাবধানে অনলাইনেও পশু বিক্রি করা হবে। কৃষকরা যাতে করে ভালো দাম পায়- সে বিষয়ে তাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জেলার সকল উপজেলায় চিকিৎসা প্রস্তুত থাকবে।
তিনি আরও জানান, ৬২ হাজার ৫২টি পশুর মধ্যে খামারিভাবে ৩৯ হাজার ৪৮৯ ও পারিবারিকভাবে ২২ হাজার ৫৬৫টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।
গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ রোগে আক্রান্ত গরুদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT