1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
এ সপ্তাহের কমলগঞ্জ - মুক্তকথা
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২২ অপরাহ্ন

এ সপ্তাহের কমলগঞ্জ

কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি॥
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩
  • ৩৮৫ পড়া হয়েছে

এক রোহিঙ্গা যুবক আটক

আঠারো বছর বয়সের রোহিঙ্গা যুবক জুবায়ের হোসেন বহু আশা নিয়ে দালালকে টাকা দিয়ে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার পথ খুঁজে নেয়। কিন্তু কাজে কোথায়ও না কোথায় একটা ভুল থেকেই যায়। তার সকল আশার গুড়ে বালি মিশিয়ে দিয়ে সীমান্ত রক্ষীগন তাকে ধরে ফেলে। সে কমলগঞ্জের কুরমা সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে চাইলে ভারত ও বাঙ্গলাদেশ সীমান্ত রক্ষি বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যায়। আটক রোহিঙ্গা যুবকের নাম জুবায়ের হোসেন(১৮)। গত ১২ জুলাই বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় তাকে আটক করে কমলগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার উখিয়া থানার কুতুবপালং শরনার্থী শিবিরের জুবায়ের হোসেন এক দালালের সহযোগিতায় ভারত যাওয়ার উদ্দেশ্যে পালিয়ে আসে। সে গত বুধবার কমলগঞ্জের কুরমা চা বাগানের সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মেইন পিলার ১৯০৫ নম্বর খুঁটি এলাকায় টহলরত হাবিলদার মো. মোস্তাক আহমদসহ বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করেন। পরে কমলগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়।

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার রাতেই রোহিঙ্গাকে থানায় দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে শ্রীমঙ্গলস্থ বিজিবি ক্যাম্পে প্রেরণ করা হয়েছে।

কমলগঞ্জে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে পৈত্রিক জমিজমা আত্মসাতের অভিযোগ;

মানবেতর জীবন যাপন

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে নিরীহ সহোদরের পৈত্রিক জায়গাজমি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর গ্রামের ভূক্তভোগী দীপ্তিময় ভট্টাচার্য্য গত ৪ জুলাই এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এই লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ১৯৫৬ সনের সেটেলমেন্ট জরিপের সময় দিপ্তীময় ভট্টাচার্য্যরে পিতা নিখিল চন্দ্র ভট্টাচার্য নাবালক ও জমিজমা বিষয়ে অনবিজ্ঞ ছিলেন। ফলে তার সহোদর শীশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, প্রতাপ চন্দ্র ভট্টাচার্য, শুধাংশু ভট্টাচার্য, শশাংক শেখর ভট্টাচার্য ও নিখিল চন্দ্র ভট্টাচার্য ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করে জমিজমা তাদের নামে রেকর্ড করে নেন।

দিপ্তীময় ভট্টাচার্য বলেন, আমার বাবা নিখিল চন্দ্র ভট্টাচার্য মারা যাওয়ার পর শীশ চন্দ্র ভট্টাচার্যের পুত্র কালীপদ ভট্টাচার্যের সাথে বসবাস করতে থাকি। কালীপদ ভট্টাচার্য এই সমূহ সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। যখন আমি বুঝতে পারি আমার পিতৃ সম্পদ সমূহ আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং আমার ফেরৎ পাবার জন্য আমার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে, তখনই আমি উত্তরাধিকারী সূত্রে আমার অংশের সহায় সম্পদের দাবী করতেই আমাকে মারধর করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে আমি খুবই দু:খ-কষ্টে জীবন যাপন করছি।

তিনি আরও বলেন, আমার নিজ গ্রামের মুরব্বিয়ানরা অনেক বার সালিশের মাধ্যমে এ বিষয়ে সমাধোনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। বাধ্য হয়ে আমি ১৯৯৬ ইংরেজিতে একটি বাটোয়ারা মামলা করি। মামলা উঠিয়ে আনলে আমার সম্পতি ভাগ করে দিবেন কালীপদ ভট্টাচার্য এমন শর্তে মামলা উঠালে মৌখিকভাবে ১৮০ শতক জায়গা আমাকে দেন এবং বলেন সবকিছু ঠিকঠাক হলে পরে সমস্ত ভাগ বুজিয়ে দিবেন। পরে আমাকে আর সম্পত্তি দেয়নি। সম্প্রতি সময়ে কালীপদ ভট্টাচার্যের ছেলে পার্থ ভট্টাচার্য আমার গ্রীলের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে আমাকে মারধর করে এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে লোহার রড নিয়ে আমার ছেলেকে কোমর ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা চালায়। আমি আমার ছেলের নিরাপত্তা ও আমার পরিবারের প্রাণের নিরাপত্তার খাতিরে পরদিন সকাল বেলা বাড়ি ছেড়ে শমশেরনগর বাজারে ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করি। বিষয়টি নিয়ে ২০২২ সনের ২৯ নভেম্বর মুন্সীবাজার ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ দেই। চেয়ারম্যান বিষয়টি সুরাহা করতে না পারায় গত ৪ জুলাই কমলগঞ্জ ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

অভিযোগ বিষয়ে কালিপদ ভট্টাচার্য্য বলেন, দিপ্তীময়ের বাবার কোন জায়গাজমি নেই। তিনি বিক্রি করে চলে গেছেন। তাছাড়া তিনি বাড়ি থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বেরিয়ে গেছেন। কেউ তাকে বের করেননি। তার অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রইছ আল রেজুয়ান জানান, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কমলগঞ্জে রূপালী ব্যাংকের উদ্যোগে রেমিট্যান্স সেবার পুরস্কার বিতরণ

কোরবানির ঈদ ঘিরে রেমিট্যান্স আয় বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছিল রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক লিমিটেড। এর অংশ হিসেবে ‘রূপালী ব্যাংক রেমিট্যান্স সেবা কর্মসূচি (ঈদ আনন্দ)’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনের ৪র্থ সপ্তাহের লটারির ড্র’তে ৫ম পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মো: হারিছ চৌধুরী।

 

 

ঈদ আনন্দের বিশেষ রেমিট্যান্স সেবার পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে রূপালী ব্যাংক লিমিটেড কেরামতনগর শাখা এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায়। ব্যাংকের কেরামতনগর শাখার ব্যবস্থাপক মো: ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও মৌলভীবাজার জোনাল অফিসের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার গোপাল কৃষ্ণ বণিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রূপালী ব্যাংক সিলেট বিভাগীয় প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আমীর হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো: রফিকুর রহমান, রূপালী ব্যাংক মৌলভীবাজার জোনাল অফিসের উপ মহাব্যবস্থাপক ও জোনাল ম্যানেজার জয়া চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মোশাহীদ আলী, সাংবাদিক প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ, ব্যবসায়ী ইমরান আহমদ, পুরস্কার বিজয়ী মো: হারিছ চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ী মো: হারিছ চৌধুরীর হাতে পুরস্কার হিসেবে একটি ডিনার সেট তুলে দেন অতিথিরা।

উল্লেখ্য, রূপালী ব্যাংক রেমিট্যান্স সেবা ক্যাম্পেইনটি গত ২৮ মে শুরু হয়ে ২৭ জুন শেষ হয়। এই সময়ের মধ্যে প্রবাসীরা রূপালী ব্যাংকে টাকা পাঠালেই পেয়েছেন লটারি জেতার সুযোগ। প্রতি সপ্তাহে সারাদেশে পাঁচজন করে রেমিট্যান্স উত্তোলনকারী পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের রেমিট্যান্স যোদ্ধা আখ্যায়িত করে বলেন, বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স আয় বাড়াতে রূপালী ব্যাংক প্রবাসীদের নানা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

কমলগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জর উপজেলার কামুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলের স্লীপ ফান্ড থেকে মেধাবী, সর্বোচ্চ উপস্থিতি ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুর ১২ টায় স্কুল হলরুমে এ অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়।

 

 

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শিক্ষক মো. হারুনর রশীদের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক ওবায়দুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মো. বুলবুল আহমদ মধু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. ইসহাক মিঞা, আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ আবুল হোসেন, সাংবাদিক সালাউদ্দিন শুভ প্রমুখ। অনুষ্টানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম জয়নুল আবেদীন।

অভিভাবক সমাবেশ শেষে স্কুলের মেধাবী, সর্বোচ্চ উপস্থিতি ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT