মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থেকে তিনটি গন্ধগোকুলের শাবক উদ্ধার করেছে বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার শমশেরনগর বড়চেগ এলাকা থেকে গন্ধগোকুলের শাবকগুলো উদ্ধার করা হয়।
বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ জানায়, সোমবার সকালে স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোনে বিষয়টি বনবিভাগকে অবগত করে। পরে সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খানের নেতৃত্বে বড়চেগ এলাকার রিদোয়ান মিয়ার বাড়ি থেকে গন্ধগোকুলের শাবকগুলো উদ্ধার করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বন বিভাগের এফজি তাজুল ইসলাম, সোহেল শ্যামসহ আরও অনেকে।
বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গন্ধগোকুলের শাবকগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর বয়স একমাসের মতো হবে। গন্ধগোকুলের শাবক গুলো জানকীছড়া রেসকিউ সেন্টারে পরিচর্যার জন্য রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হবে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের মরাজানের পাড় গ্রামে ভেজাল মসলা উৎপাদনে ভ্রাম্যমান আদালত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। সোমবার দুপুরে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এই জরিমানা করেন।
জানা যায়, শমশেরনগর ইউনিয়নের মরাজানের পাড় গ্রামের মগনু মিয়ার ছেলে শিমুল মিয়া দীর্ঘদিন যাবত মোরগের খাদ্য মিশ্রন করে ভেজাল মরিচ, হলুদ, ধনিয়া গুড়াসহ বিভিন্ন ধরনের মসলা উৎপাদন ও বিক্রি করছেন। নিজের বাড়িতে কারখানায় ‘আবিহা’ কোম্পানি নাম দিয়ে নামী, দামী ব্যান্ডের মসলা ও পণ্য নকল করে বিক্রি করে আসছেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উৎপাদন সামগ্রী সহ শিমুল মিয়াকে আটক করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাখন চন্দ্র সূত্রধর ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও তা আদায় করেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাখন চন্দ্র সূত্রধর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এধরনের আরো অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে এবং অবৈধ ও ভেজাল উৎপাদনকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নে দু’টি প্রকল্প কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় গ্রামবাসী। ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়ামিজ মিয়ার বাড়ির পাশ হতে সুফিয়ান মিয়ার বাড়ির নিকট পর্যন্ত কাবিটা প্রকল্পের ৬ লক্ষ টাকা ও দক্ষিণ রাধানগর ঈদগাহে কাবিখা প্রকল্পে ১ লক্ষ টাকার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দু’টি প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ২০ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয়।
![]() |
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, শমশেরনগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছানোয়ার আলী প্রকল্পের কাজে অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। রাধানগর গ্রামের ইয়ামিজ মিয়ার বাড়ির পাশ হতে সুফিয়ান মিয়ার বাড়ির নিকট পর্যন্ত কাবিটা প্রকল্পের ৬ লক্ষ টাকার প্রকল্পে পূর্বের ইটসলিং তুলে পুরনো ইটের কংক্রিট দ্বারা নামমাত্র প্রায় ২শ’ ফুট ঢালাই কাজ সম্পন্ন করেন। রাতের অন্ধকারে ৩ ইঞ্চি ঢালাই দিয়ে কাজ করার ১৫ দিনের মাথায় বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়। পুণরায় আবারও সিমেন্ট দ্বারা ভরাট করে দায়সারাভাবে প্রায় লক্ষাধিক টাকার কাজ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অন্যদিকে রাধানগর ঈদগাহে কাবিখা প্রকল্পে ১ লক্ষ টাকার কাজে কমিটির সভাপতি, সম্পাদক জ্ঞাত নন। ইউপি সদস্য নিজের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে কিছু মাটি ভরাট করেছেন বলে প্রচার করেন।
অভিযোগ করে গ্রামের সামসুল হক, আবুল লেইছ জানান, দু’টি প্রকল্পে দেড় থেকে দু’লক্ষাধিক টাকার নামে মাত্র কাজ করে অবশিষ্ট টাকা ইউপি সদস্য আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে আমরা ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।
অভিযোগ বিষয়ে ইউপি সদস্য ছানোয়ার আলী বলেন, কাজে কোন অনিয়ম হয়নি। কাজ এখনো চলমান রয়েছে। কিছু ব্যক্তিবর্গ নিজেদের স্বার্থে আমার বিরুদ্ধে প্রকল্প কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন। অভিযোগ সঠিক নয়। আমার প্রকল্প কাজ পিআইও সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন এবং বিল এখনো উত্তোলন করা হয়নি। তাছাড়া কাজ সঠিক না হলে পুনরায় করা যাবে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, অভিযোগের কপি ফাইলে রয়েছে। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নোট: ছবি সংযুক্ত।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর উদ্যোগে” ঈদ পুনর্মিলনী ” অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় উপজেলার হীড বাংলাদেশ কনফারেন্সে রুমে মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর।
![]() |
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমলগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ জামাল হোসেন, কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহবায়ক এম, এ, ওয়াহিদ রুলু, সদস্য সচিব আহমেদুজ্জামান আলম, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা অমূল্য কুমার সিংহ, হীড বাংলাদেশের লিয়াঁজো কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব কাজ্বী মাহমুদ আলী, কমলগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমদ, কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমলগঞ্জ উপজেলার প্রতিনিধি রাজ মোস্তাকিন, ভূইয়া রাজন রেজা, মোঃ মিল্লাদ আলী, ইমাদ আহমেদ, আব্দুস সামাদ তালুকদার, সাইফুর রহমান আবুল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত উনায়েছ আহমদ খান, খালেদ হোসেন, নাজমিন আক্তার জেনী, সিলেট মদনমোহন কলেজের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয় ।
Comments are closed.
Good https://is.gd/tpjNyL
Very good https://is.gd/tpjNyL
Awesome https://is.gd/tpjNyL
Awesome https://shorturl.at/2breu
Awesome https://t.ly/tndaA
Good https://t.ly/tndaA