মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। এটিই হলো খাঁটী গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা আর এদেরকেই বলা যায় দেশদরদী নেতা ও রাজনীতিক। ঘটনাটি গত ২৭ এপ্রিলের। অটোয়াতে একটু বন্যা হয়েছিল। স্বেচ্ছাসেবীরা মাঠে নেমেছিলেন। নেমেছিলেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। কিন্তু ঘটে যায় ছোট্ট এক বিভ্রাট। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো’র গণতান্ত্রিক মন, ব্যক্তিত্ব ও ধৈর্য্যশীলতা একদিকে যেমন বিষয়টিকে তুচ্ছ করে দিয়েছিল, পাশাপাশি নেতৃত্বের উচ্চাসনে তাকে তুলে দিয়েছে।
যে কোন দেশেরই প্রধানমন্ত্রী কোথায়ও গেলে মিডিয়ার ভীড় হয়। আর এসব কারণে প্রধানমন্ত্রীর এই কাজকে চ্যালেঞ্জ করে বসলেন বয়োজ্যেষ্ঠ এক স্বেচ্ছাসেবক। প্রধানমন্ত্রীর সামনেই সেই বর্ষিয়ান স্বেচ্ছাসেবক প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে বললেন- তোমার আগমনে তোমার লোকজনের কারণে ব্যাগে বালি ভর্তির কাজ আমাদের ধীর গতিতে করতে হয়েছে। আমি আধা ঘন্টা ধরে দাড়িয়ে আছি। কেনো এমন করলে। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে এমনটি করা তোমার লোকজনদের ঠিক হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এক মহিলা ওই লোককে কথা বলা থেকে বিরত রাখতে চাইলে ওই স্বেচ্ছাসেবী, মহিলাকে বললেন তুমি জানো, এটি একটি “ফ্রি কান্ট্রি”।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার দুই ছেলে গত শনিবার ওটোয়ার পশ্চিমপ্রান্তের বন্যা উপদ্রুত এলাকায় গিয়েছিলেন সরকারীভাবে পরিদর্শন করতে। সেখানে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবকগন বস্তায় বালি ভরছে দেখে তিনিও ছেলেদের নিয়ে বস্তায় বালি ভরতে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর বালি ভরার চিত্র তুলতে গিয়ে অন্যান্য সব স্বেচ্ছাসেবকদের বালি ভরার কাজ কিছু সময়ের জন্য শ্লথ হয়ে পড়ে। আর এখান থেকেই বয়োজ্যেষ্ঠ ওই স্বেচ্ছাসেবক সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করে বসেন, “কেনো এমন করলে? আমার জীবনে এমন কাজ আগে কখনও দেখিনি।” ইত্যাদি ইত্যাদি।
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো এক পর্যায়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। পরে তার অফিস থেকে জানানো হয় যে “কনস্টেন্স এন্ড বাকিংহাম বে কম্যুনিটি” কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়নি। কাজে কোন ব্যাঘাত ঘটেনি। এরই নাম গণতন্ত্র! আমরা কি কোনদিন ওখানে পৌঁছাতে পারবো? আক্ষেপ করে এক সতীর্থ বললেন আমাকে।