লন্ডন: মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর কীটনাশক ঔষধের সংশ্রব পাওয়া গেছে মোরগের ডিমের মধ্যে, নেদারল্যন্ডে। এমন কিছু ক্ষতিকর ইউরোপীয়ান ডিম যুক্তরাজ্যের বাজারে প্রবেশ করেছে তবে সেগুলো খুবই অল্পমাত্রায় বলেছে যুক্তরাজ্যের ফুড স্ট্যন্ডার্ড এজেন্সি।
“দি ওয়াচ ডগ” অর্থাৎ এই পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা বলেছে যে বৃটেনের জনস্বাস্থ্যের প্রতি এর হুমকি খুবই কম মাত্রায়। তারা হিসেব দেখিয়ে বলেছেন, বৃটেনে বছরে যে ডিম আমদানী হয় সেই অনুপাতে ক্ষতিকর ওই ডিমের পরিমান মাত্র ০.০০০১ ভাগ। লিখেছে দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
‘আলদি’ ও ‘লিডল’ ‘চেইনষ্টোর’দু’টি লক্ষ লক্ষ সন্দেহমুলক ডিম জার্মানীতে তাদের দোকান থেকে সরিয়ে নিয়েছে। তাদের বৃটেনের দোকানে যে ডিম রয়েছে তা সব বৃটিশ ডিম।
ক্ষতিকর এই ডিম সমস্যার শুরু বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ড থেকে। বৃটেনে উৎপাদিত ডিমে এই দুষণ রয়েছে এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গত ৭ই আগষ্ট বৃটেনের সবক’টি সংবাদপত্রে এই খবর প্রচারিত হয়। সূত্র দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
দি গার্ডিয়ান লিখেছে, বৃটেনের ‘খাদ্য নিরাপত্তা পরিদর্শকগন’ ইউরোপের ওলন্দাজ খামার থেকে আমদানীকরা ২১০০০ ডিমের খোঁজ করছে তারা। গত মার্চ ও জুন মাসের মধ্যে নেদারল্যান্ড থেকে এ ডিম আমদানী করা হয়েছিল। অভিজ্ঞমহল মনে করেন এগুলো খুঁজে বের করা খুবই কঠিণ হবে। বৃটেনের খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ হুঁশিয়ার করে দিয়েছে এই বলে যে জার্মানী থেকে আমদানীকরা ডিম ক্ষতিকর হতে পারে।
বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা প্রশিক্ষনাগারের পরিচালক বেলফাস্টের কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস এলিওট, বৃটেনের খাদ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষনকারী প্রতিষ্ঠানকে (ওয়াচডগ) ধন্যবাদ দিয়েছেন তাদের তড়িৎ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। এফএসএ স্বীকার করেছে যে ক্ষতিকর ডিম বৃটেনে এসেছে ঠিকই তবে সেগুলো কোন দোকানের থাড়িয়ায় পৌঁছেনি বলেই তাদের ধারণা। তারা আরও বলেছেন যে বৃটেনে ঢুকে পড়া ডিমের পরিমাণ এতোই নগন্য যে জনস্বাস্থ্যের প্রতি এর হুমকিও অত্যন্ত নগন্য। তবে কম হলেও তারা আমদানীকরা ওই ক্ষতিকর ডিমের খোঁজ নিচ্ছেন। তারা বলেছেন, “আমরা ঘনিষ্টভাবে দোকানীদের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। এ পর্যন্ত যতটুকু তথ্য আমরা পেয়েছি তাতে দেখা যাচ্ছে ক্ষতিকর কোন ডিম কোন দোকানের থাড়িয়ায় নেই।”
ওলন্দাজ খামার সংগঠন এলটিও বলেছে, কয়েক লক্ষ মুরগীকে পৃথক করার প্রক্রিয়া চলছে এবং ইতিমধ্যেই ৩লক্ষ মুরগী মেরে ফেলা হয়েছে। এই সংকটে, মুরগী উৎপাদন শিল্পই বন্ধ হয়ে যাবার সংকটে পতিত হয়েছে বলে ওলন্দাজ মুরগী উৎপাদন শিল্প হুঁশিয়ার করে দিয়েছে।