সৈয়দ ছায়েদ আহমদ।। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির অন্তভৃক্ত চা শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়ন কর্মসুচির আওয়তায় চা শ্রমিকদের মাঝে এককালীন নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এ অর্থ সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সুয়েব হোসেন চৌধুরী পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রণধীর কুমার দেব, ফিনলে কোম্পানির রাজঘাট ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় বুনার্জি, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এনাম হোসেন চৌধুরী মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো.ছালিক আহমেদ সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানাযায়, ১২ টি বাগানে ২হাজার ৪শত ২৯টি পরিবারের মাঝে ১ কোটি ২১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা বিতরণ।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’ র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর ইয়েস গ্রুপ শ্রীমঙ্গলের উদ্যোগে‘সামাজিক অবক্ষয় ও দুর্নীতি প্রতিরোধে তরুণ সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার রাত ৮ টায় ভার্চুয়াল ‘সামাজিক অবক্ষয় ও দুর্নীতি প্রতিরোধে তরুণ সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় মূখ্য আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুজ্জামান।
সনাক সভাপতি দ্বীপেন্দ্র ভট্টাচার্য এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাক শ্রীমঙ্গল এর সদস্য এবং ইয়েস আহ্বায়ক জিডিশন প্রধান সূছিয়াং।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সনাক, স্বজন সদস্য, অভিভাবক এবং তরুণ শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং ইয়েস ও ইয়েস ফ্রেন্ডস গ্রুপ শ্রীমঙ্গল এর সদস্যবৃন্দ।
‘সামাজিক অবক্ষয় ও দুর্নীতি প্রতিরোধে তরুণ সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভার মূখ্য আলোচক মো. আশরাফুজ্জান বলেন, অবাধ ইন্টারনেট ব্যবহারের কারনে আমাদের তরুণদের মধ্যে একধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরী হয়েছে এবং তাদের অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গলের অভিভাবকবৃন্দ তাদের সন্তানদের হাতে দামী দামী মোবাইল ফোন, মোটর সাইকেল তুলে দিচ্ছেন। ফলে তরুণরা নীতিবিরোধী কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছে। এসব ডিভাইস হাতে পাওয়ার পর সন্তানরা কি করছে কোথায় যাচ্ছে কার সাথে কথা বলছে, এই বিষয়ে আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি তরুণ সমাজকে আরো বেশি করে সংগঠিত হতে অনুরোধ করেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে অনেক তরুণ কর্মকর্তা সরকারের বিভিন্ন পদে আসাতে দুর্নীতি কমে এসেছে। আমাদের আজকের এই তরুণরাই আগামীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার হবেন। তাই তিনি সবাইকে নৈতিক শিক্ষার প্রতি জোর দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি আরো বলেন আমরা প্রযুক্তির কারনে অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে গেছি, পরিবার স্বজনদের সময় দিচ্ছি না। তিনি উপস্থিত সকল তরুণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক সমাজ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ এবং বিশেষ করে অভিভাবকদের বলেন পরিবারকে সময় দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। সামজিক অবক্ষয় এবং দুর্নীতি রোধে আমাদেরকে নৈতিক শিক্ষায় ফিরে যেতে হবে এবং এটির প্রথম স্থর হচ্ছে পরিবার বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তাই পরিবার থেকেই নীতি শিক্ষার চর্চাটি আবার নতুন করে শুরু করার আহ্বান জানান তিনি। তরুণ সমাজকে এই অবক্ষয় থেকে ফিরিয়ে আনতে নৈতিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। সেই সাথে তিনি সনাকের সাথে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।