জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের পরিচালনায় শুরুতেই পাত্রখোলা চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক মিছবাহুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) তানিয়া সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সাধারণ) শাহীনা আক্তার, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মল্লিকা দে, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দীন। চা শ্রমিকদের মধ্যে আবেগঘন কথা বলেন গীতা পাইনকা।
উল্লেখ্য দৈনিক মজুরি ১২০ থেকে ৩০০ টাকায় উন্নীতকরণের দাবিতে কমলগঞ্জসহ সারা দেশের চা শ্রমিকরা টানা ১৯ দিন আন্দোলন করেন। গত ৮ আগস্ট থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। ১৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার আশ্বাসে গত ২২ আগস্ট শ্রমিকদের একাংশ আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে ফিরলেও আরেক অংশ আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিলেন। চা শ্রমিকদের টানা ধর্মঘটে সারাদেশের বাগান থেকে চা-পাতা উত্তোলন, কারখানায় প্রক্রিয়াজাত ও উৎপাদন বন্ধ থাকে। এতে স্থবির হয়ে পড়ে দেশের চা শিল্প। চা বাগান ব্যবস্থাপকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সেই কর্মবিরতিতে মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানে প্রতিদিন প্রায় ১৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে। এই হিসেবে জেলায় শুধু পুরো ১৫দিনের কর্মবিরতিতে প্রায় ২২০ কোটি ৮০ লাখ টাকার লোকসান হয়।
২৭ আগস্ট গণভবনে চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের(বিটিএ) সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর নতুন মজুরির ঘোষণা আসে দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি আনুপাতিক হারে তাদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও বাড়ানো হবে। সবমিলিয়ে দৈনিক মজুরি হবে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। এরপর শ্রমিকরা নিজ নিজ বাগানে কাজে ফিরেছেন। চা-শ্রমিকরা তাদের সুখ-দুঃখ ও দাবি দাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার দাবির প্রেক্ষিতে এই ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।
|