1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
চির বিদায় নিয়ে চলে গেলেন নন্দিত অভিনেতা, নির্দেশক আলী যাকের - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১০:১৭ অপরাহ্ন

চির বিদায় নিয়ে চলে গেলেন নন্দিত অভিনেতা, নির্দেশক আলী যাকের

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০
  • ৩৫৯ পড়া হয়েছে

মুক্তকথা সংগ্রহ॥ বৃহৎ বাঙ্গালী সংস্কৃতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো। চির বিদায় নিয়ে চলে গেলেন একুশের পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন অভিনেতা, নির্দেশক মুক্তিযোদ্ধা আলী যাকের। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। ক্যানসারে আক্রান্ত এই অভিনেতা করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল প্রায় দু’সপ্তাহ আগে।
গণমাধ্যম থেকে জানাগেছে, ক্যান্সারের সঙ্গে চার বছরের লড়াই শেষে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার ২৭ নভেম্বর ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। আলী যাকেরের মরদেহ শুক্রবার বেলা ১১টায় নিয়ে যাওয়া হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে। একাত্তরের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এই শব্দসৈনিককে সেখানে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

আলী যাকেরের জন্ম ১৯৪৪ সালের ৬ নভেম্বর। দ্বিতীয় বিশ্বসমরের ধুন্ধুমারের সময়। বাবা মোহাম্মদ তাহের ছিলেন ইংরাজ আমলের ‌ওই সময়ের চট্টগ্রাম মহকুমা প্রশাসক। তার মায়ের নাম রিজিয়া তাহের। আলী যাকেরদের মূল বাড়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। বাবার সাথে বাংলাদেশের বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখার দূর্লভ সুযোগ হয়েছিল তার কৈশোর যৌবনেই।
সেন্ট গ্রেগরি থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে নটরডেম কলেজে পড়েছেন দু’বছর। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। মূলতঃ এই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই শুরু হয় নাট্যচর্চার আর একই সাথে ছাত্ররাজনীতির। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আলী যাকের মতিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন মস্কোপন্থি ছাত্রইউনিয়নের সাথে গভীরভাবে যুক্ত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আলী যাকের ভারতে গিয়ে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন।
মঞ্চে নূরলদীন ও দেওয়ান গাজী চরিত্রে আলী যাকেরের অভিনয় এক প্রজন্মের দর্শকদের মনে থাকবে আমৃত্যু। বহু নাটকের মধ্যে ‘বহুব্রীহি’, ‘তথাপি পাথর’, ‘আজ রবিবার’ টিভি নাটকের অভিনয়সহ ‘সৎ মানুষের খোঁজে’, ‘তৈল সংকট’, ‘অচলায়তন’, ‘এই নিষিদ্ধ পল্লীতে’, ‘কোপেনিকের ক্যাপ্টেন’সহ বেশ কয়েকটি মঞ্চ নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন আলী যাকের।
তিনি ব্যবসায়‌ও সমানভাবে সফল ছিলেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক, নরেন বিশ্বাস পদকসহ বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন আলী যাকের।

অভিনয়, নির্দেশনার বাইরে তিনি যুক্ত ছিলেন লেখালেখির সঙ্গে। নাটকে অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করেছিল। ‘বরেণ্য অভিনেতা ‌ও দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র’ আখ্যায় ভূষিত করে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, “তার মৃত্যুতে দেশ একজন বরেণ্য অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে হারালো।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধ, দেশের শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আলী যাকেরের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদও এই অভিনেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন। শোকবার্তায় তিনি বলেন, “তিনি তার অভিনয় ও সৃজনশীল কর্মের মধ্য দিয়ে এদেশের অগণিত দর্শক-শ্রোতার হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।”
সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর জানান, শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আলী যাকেরের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বনানী কবরস্থানে।
দুদিন আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণও ধরা পড়েছিল বাবার, ফেইচবুকে লিখেছেন তার পুত্র ইরেশ যাকের।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT