সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। ব্যবসার স্বার্থে ছাতক-সুনামগঞ্জ সড়কে পাথর ডাম্পিং করে রাখায়, হুমকির মুখে পড়েছে সড়কের একটি ব্যস্ততম অংশ। কতিপয় ব্যবসায়ী বিভিন্ন এলাকা থেকে ভারি ট্রাক যোগে পাথর এনে মলিকপুর ও মাছুখালী এলাকায় সড়কের উপর পাথর ডাম্পিং করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। ফলে ছাতক-সুনামগঞ্জ সড়কে তীব্র যানজটের পাশাপাশি সড়কটি পড়েছে হুমকির মুখে। দীর্ঘ ভোগান্তির পর এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ছাতক-সুনামগঞ্জ সড়কটির জাউয়া পর্যন্ত যানবাহান চলাচলের উপযোগী হয়েছে। তবে এখনো এ সড়ক দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি।
সম্প্রতি স্থানীয় কতিপয় ব্যবসায়ী সড়কের উপর পাথর ডাম্পিং করে সড়ক দিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। পাশাপাশি অধিক লোডের পাথরবাহী ট্রাক আসা-যাওয়ার কারনে সড়কটি মারাত্মক ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছে। রাস্তার উপর পাথর ডাম্পিং করার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে এলাকার লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, ছাতক শহর সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় ব্যবসা-বানিজ্যও এখানে নদী কেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে। যুগ-যুগ ধরে নদীপথে পাথর, বালু লোডিং-আনলোডিং ও নদীর তীরে পাথর-বালু ডাম্পিং করে ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসছে এখানে। কিন্তু অধিক লাভের আশায় জনবহুল ছাতক-সুনামগঞ্জ সড়কের মলিকপুর-মাছুখালী এলাকায় সড়কের উপর পাথর ডাম্পিং করে কতিপয় ব্যবসায়ী ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন টিলার কর্দমাক্ত লাল পাথর বড়-বড় ট্রাক যোগে এখানে এনে ডাম্পিং করে পরে এসব পাথর ভ্রাম্যামান ওয়াসিং মেশিনে ধৌত করে নৌকায় বা কার্গোতে লোড করে বিক্রি করা হয়। কর্দমাক্ত পাথর ধোয়ার ফলে সুরমা নদীর পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।
জনবসতি এলাকায় ওয়াসিং মেশিন ব্যবহারে শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছেন গ্রাম্য এলাকার মানুষ। ওয়াসিংয়ের ফলে পাথরের সাথে থাকা ডাস্ট পানির সাথে মিশে ক্রমেই নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। অবৈধ ওয়াসিং মেশিন বন্ধ না হলে এক পর্যায়ে নদীপথে এখানের ব্যবসা-বানিজ্য, নৌ-চলাচল হুমকির মুখে পড়বে। ব্যবসায়ীরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তারা ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বর্তমানে তারা সরকারী সড়ক দখল করে পাথর ডাম্পিং করছে। এভাবে নিয়মিত ট্রাকযোগে পাথর পরিবহন করা হলে একমাসের মধ্যেই সড়কটি ভেঙ্গে ছাতকের সাথে জাউয়াবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার আশংকা রয়েছে। এলাকাবাসি সড়কের উপর ও সড়ক সংলগ্ন সরকারী ভুমিতে পাথর ডাম্পিং ও ট্রাকযোগে পাথর লোডিং-আনলোডিং এবং নদীতে ভ্রাম্যমান ওয়াসিং মেশিন বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনসুর মিয়া জানান, এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।