শ্রীমঙ্গল উপজেলার ফিনলে কোম্পানির রাজঘাট চা বাগানের আওতাধীন সিন্দুরখান ইউনিয়নের পার্শবর্তী এলাকার ‘জয়বাংলা বধ্যভূমি’তে নির্মাণাধীন স্মৃতিসৌধ এলাকার জায়গা দখলে নেয়ার চেষ্টা শুরু করে চা-শ্রমিকরা অতি সম্প্রতি। শতাধিক পুরুষ মহিলা চা-শ্রমিক চিহ্নিত ভূমির অংশ যার যার দখলে নিয়ে ভিটাতে মাটি ফেলা শুরু করে। এ অবস্থায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। চা-শ্রমিকদের প্রতিহত করতে এলাকাবাসী সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে।
বিষয়টি অবগত হয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন বাগান কর্তৃপক্ষ ও রাজঘাট ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধানের আহ্বান জানান। এ অবস্থায় রাজঘাট চা-বাগান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত একাধিক বৈঠকে বাগান কর্তৃপক্ষ, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও চা শ্রমিক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, স্মৃতিসৌধ নির্মাণকালীন সময়ে আশপাশের জায়গা দখলে নেয়া বা কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার ভূমি নেসার উদ্দিন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কুমুদ রঞ্জন দেব, ফিনলে চা কোম্পানির রাজঘাট ডিভিসনের ডেপুটি চীফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম মাইনুল আহসান, রাজঘাট ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় বুনার্জী, ইউপি সদস্য চন্দন বুনার্জী প্রমূখ।
এর আগে বাগান কর্তৃপক্ষ চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেন এবং চা-শ্রমিকদের নিভৃত হতে বলেন। আলোচনায় জনপ্রতিনিধি ও চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ একমত হন।
উল্ল্যেখ, শ্রীমঙ্গল উপজেলার ফিনলে কোম্পানির রাজঘাট চা বাগানের আওতাধীন সিন্দুরখান ইউনিয়নের পার্শবর্তী ‘জয়বাংলা বধ্যভূমি’তে সরকারের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে স্মৃতিসৌধ। জেলাপ্রশাসনের তত্ত্বাবধানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এই অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এ অবস্থায় বাগানের চা শ্রমিকরা বসতগৃহ নির্মাণের জন্য আশপাশের জায়গা দখলে নিয়ে কাজ শুরু করে।
জানতে চাইলে ফিনলে চা কোম্পানির রাজঘাট ডিভিসনের ডেপুটি চীফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম মাইনুল আহসান বলেন, বধ্যভূমির বিষয়ে আমরা অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। সরকারের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে আমরা সর্বাত্বক সহযোগিতা করবো। চা-শ্রমিকদের আবাসনের বিষয়টি বাগান কর্তৃপক্ষ দেখবে।