মাত্র ২৬ বছরের যুবক রাফাত চৌধুরী। একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে নতুন চাকরী পেয়েছিলেন। মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, বাবা অবসরপ্রাপ্ত। উসস(উন্নয়ন সহায়ক সংস্থা) নামের একটি এনজিও’তে খন্ডকালীন কাজ করেন। রাফাতের একভাই ও বোন প্রবাসে। ছোট একটি ভাই ঢাকায় লেখাপড়া করছে। ছোট্ট তাদের সংসারে রাফাতই ছিল মা-বাবার মূল অবলম্বন। সুন্দর ছিম-ছাম এ সংসারের সবকিছু উলট-পালট করে দিয়ে গেছে গত ২৩শে জানুয়ারী মঙ্গলবারের এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা।
ঘাতক ট্রাক সামনা-সামনি সংঘর্ষ বাধায় একটি বেবিটেক্সীর সাথে। রাফাত ছিলেন সেই বেবিটেক্সীর যাত্রী। বেবিটেক্সীকে চাপ দিয়ে চেপ্টা করে দেয় ঘাতক ট্রাক। সাথে সাথে রাফাতকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তাররা তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন। সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে রাফাতের অবস্থার অবনতি হলে ভাল চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন।
তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকার স্কোয়ার হাসপাতালে। সেখানেই ৩১শে জানুয়ারী বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাফাতের মৃত্যু ঘটে। রাফাতের দূর্ঘটনার খবর পেয়ে তার মা সেই যে জ্ঞান হারিয়েছিলেন আজ ২রা ফেব্রুয়ারী, এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থতায় ফিরে আসতে পারেননি। বৃদ্ধ বাবা বার বার সংজ্ঞা হারাচ্ছেন। কে তাদের কি দিয়ে সান্তনা দেবে?
আজ ২রা ফেব্রুয়ারী শুক্রবার, রাফাতের গ্রামের বাড়ী রাজনগরের আশ্রাকাপনে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সম্ভাবনায় উজ্জ্বল যুবক রাফাত, মৌলভীবাজার সরকারী মহাবিদ্যালয় জাসাস এর সভাপতি ছিলেন।