চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ)।। ছাতকে গোবিনগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউপির ধারণবাজার(জাতুয়া) পোষ্ট ই-সেন্টারের ল্যাপটপ বাসায় রেখেই ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে বিপুল সংখ্যক জনসাধারণ ই-সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের এক্সেস টু-ইনফরমেশন কর্মসূচির আওতায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয় পোষ্ট ই-সেন্টারের সেবা কেন্দ্রের কার্যক্রম। সরকার ডাক বিভাগের উদ্যোগে শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুবতিদের কম্পিউটার প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কর্মক্ষম ও দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলতে এ কার্যক্রম চালু করেন। এসময় সরকার ৩টি ল্যাপটপসহ প্রায় চার লক্ষ টাকার মালামাল প্রদান করে। কিন্তু এসব মালামাল দেয়ার পরও এখানে ই-সেবা কার্যক্রম চালু না করে ল্যাপটপগুলো পোষ্ট মাষ্টার ও উদ্যোক্তার বাসায় ব্যবহার করা হচ্ছে। এখানে একটি ল্যাপটপ দিয়েই চলছে অফিসের দায়সাড়া কার্যক্রম।
কম্পোজ ও ইমেইল সেবা কার্যক্রমের ব্যাপারে অনেকটাই অবগত নন উদোক্তা নূর আহমদ। তিনি নিজেও কম্পোজ বিষয়ে কোন অভিজ্ঞতা রাখেন না ফলে পোষ্ট ই-সেন্টারের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। এখানে ই-সেন্টার চালুর দীর্ঘদিন পরও প্রশিক্ষানার্থী ভর্তি এমনকি কাউকে প্রশিক্ষণ নিতে দেখা যায়নি। তবে উদ্যোক্তা নূর আহমদ সেবা নিতে আসা লোকজনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এব্যাপারে জাতুয়া পোষ্ট মাষ্টার ইসরাইল আলী বলেন, আগে শিক্ষিত যুবক-যুবতিদের ভর্তি করে এখানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হতো। কিন্তু এখন এব্যবস্থা নেই। তবে ই-সেন্টারে কেন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছেনা একমাত্র উদ্যোক্তাই এসব বলতে পারবে। এব্যাপারে ছাতক হেড পোষ্ট অফিসের উদ্যোক্তা খায়রুল ইসলাম জানান, দক্ষ জনশক্তি গড়ার লক্ষ্যে সরকার পোষ্ট ই-সেন্টার চালু করেছে। তবে অনেক উদ্যোক্তা সেন্টারের দায়িত্ব নিয়ে দায়িত্বহীন হওয়ায় অনেক সেন্টারে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ছাতক হেড অফিসের পোষ্ট মাষ্টার মো. শাহজাহান জানান, প্রশিক্ষনের জন্যে সরকার এ উদ্যোগ নিলেও অনেক উদ্যোক্তা কম্পিউটার বিভাগে তেমন দক্ষ না থাকায় শহর ছাড়া মাঠ পর্যায়ের পোষ্ট ই-সেন্টারে এ সেবা কার্যক্রম মূখ থুবড়ে পড়েছে। তবে জাতুয়া ই-সেন্টারে প্রশিক্ষনের জন্যে অনেক সরঞ্জামাদি দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।