মোমবাতি জ্বালিয়ে উদ্বোধনে শরিক হলেন সম্মানিত হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী
উদ্বোধনীতে কথা বলছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
উদ্বোধনী বক্তব্যে চীপ মিনিষ্টার কেজরীওয়াল |
লণ্ডন।। দিল্লীর চীপ মিনিষ্টার অরবিন্দ কেজরীওয়াল, বাংলাদেশের হাইকমিশনার
সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং বাংলা নাটক ও ছায়াছবির সাড়াজাগানো অভিনেত্রী
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সন্মিলিতভাবে ১১তম বাংলা সিনে উৎসব ২০১৮এর উদ্বোধন করেন
আজ ১০ই আগষ্ট শুক্রবার ২০১৮সাল।
দিল্লীর বাঙ্গালী সমিতি’র আয়োজনে ৩দিন
ব্যাপী এ উৎসবে খ্যাতিমান বাংগালী পরিচালক, প্রজোযক ও চিত্রনির্মাতাদের দশটি
পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি ও দশটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছায়াছবি দেখানো হবে।
উৎসবের উদ্বোধন করতে গিয়ে মিঃ কেজরীওয়াল তার ভাষায় বলেন, বাঙ্গালীসংস্কৃতি
খুবই সমৃদ্ধ একটি সংস্কৃতি। বাংলা ভাষা সত্যিকার অর্থেই একটি মধুর ভাষা। আমি
আশাকরি একাডেমী এর স্বযত্ন পৃষ্ঠপোষকতা করবে এবং উৎসবও পালন করবে।
তিনি বলেন,
বিগত ৬০ বছর ধরে বাংলা সমিতি ‘বাংলা একাডেমী’ প্রতিষ্ঠার দাবী করে
আসছে। এখন আমরা একাডেমী সৃষ্টি ও স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আশাকরি
দিল্লীতে বসবাসরত ৫০লাখ বাংগালীর জন্য এটি একটি সুখবর। শীঘ্রই তারা তাদের
নিজস্ব “বাংলা একাডেমী” পেয়ে যাবেন। এ বিষয়ে নির্দেশ ও তার বাস্তবীকরণ কাজ
অনুমোদিত হয়েছে। এ অবস্থায় আমার বিশ্বাস আগামী বছর বাংলা সিনে উৎসব আরো
বড় আকারে আড়ম্বপূর্ণভাবে পালিত হবে।
উৎসব চলাকালীন সময়ে বাংলা ছায়াছবি “ময়ূরাক্ষী”, “পুপা”, “ভালবাসার বাড়ী”,
“হা-মী”, “রেইনবো জেলী”, “বেঞ্চে থাকার গান”, “বাবার নাম গাঙ্গীজী”, “আহারে মনে”
এবং “মাছের ঝোল” দেখানো হবে।
প্রথমদিন মিসেস সেনগুপ্তের “ভালবাসার বাড়ী” প্রদর্শিত হয়।
মিসেস ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
তার বক্তব্যে বঙ্গসমিতির কর্মপ্রচেষ্টায় আন্তরিক সন্তুস্টি প্রকাশ করে বলেন বঙ্গাঞ্চলের
সিনেমাকে উৎসাহ, প্রদর্শন ও পৃষ্ঠপোষকতার অবদানে “বঙ্গসমিতি’র কাজে আমি অত্যন্ত
সন্তুষ্ট।
তিনি আরো বলেন, আমি এখানে উপস্থিত থাকতে পেরে খুবই গর্ববোধ করছি। আমি সত্যিই
খুশী এই দেখে যে দিল্লীতে বাংলা ছায়াছবির এতো দেখিয়ে বোদ্ধা রয়েছেন যারা বাংলা
ছায়াছবির গভীরে গিয়ে দেখতে চান। “বঙ্গ এসোসিয়েশন”এর কাজে আমি সবসময়
এখানে আসবো যদি তারা বাংলা ছায়াছবির উন্নয়নে আমার কোন ধরনের সহায়তা আছে
মনে করেন।
১২ই আগষ্ট উৎসবের শেষ দিন। এদিন “মাছের ঝোল” ছায়াছবি প্রদর্শিত হবে। বাংলাদেশের হাইকমিশনার সম্মানিত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী সকলে সাথে আলোর প্রতীক বাতি জ্বালিয়ে উৎসবের উদ্বোধনে শরিক হন। আগামীতে দিল্লীতে বাংলাদেশের ছায়াছবিরও উৎসবায়োজনের ব্যবস্থা হবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।
|