মুক্তকথা নিবন্ধ।। গাড়ি আটক করে পুলিশের ঘুষ নেয়ার ভিডিও ধারণের সময় একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের রিপোর্টার ও ক্যামেরাম্যানকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ২৪শে জুন(২০১৯ইং) বিকেলে রংপুরের গঙ্গাচড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ মোড়ে।
প্রকাশ্য দিবালোকে সদর রাস্তায় গাড়ী আটকিয়ে টাকা আদায়ের সময় ওই টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক ভিডিও ধারন করতে গেলে এ মারধরের ঘটনাটি ঘটে।
দখলদার পাকিস্তান আমলে এ নমুনার ঘটনা ছিল বলতে গেলে নিত্ত্বনৈমিত্তিক। শুধু নিত্ত্বনৈমিত্তিক বললে ভুল হবে। সে সময় পুলিশ রীতিমত টহল দিয়ে চাঁদা আদায় করতো। দেশের বিভিন্ন শহরের প্রবেশ পথে পুলিশের চাঁদা আদায়ের লোকজন মোতায়েন থাকতো। তাদের কাছেই একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকতো সাধারণ পোষাকে পুলিশের লোক। তারা দেখিয়ে দিতো কোন গাড়ী থেকে টাকা আদায় করতে হবে। সেই সময়গুলোতে এ ধরনের অনৈতিক ঘটনায় সাংবাদিকদের খুব বেশী ঘাটাতে চাইতো না পুলিশ। দেশের বাস, ট্রাক চালক ও গাড়ী ব্যবসায়ীরা এ ধরনের হেনস্তার শিকার হতেন প্রায়শঃই। দেশের বড় বড় শহরগুলোর গাড়ী ব্যবসায়ীদের রীতিমত মাসোহারার মত দিতে হতো পুলিশকে।
প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোন না কোন অঞ্চলে পুলিশের এ নমুনার অনৈতিক বাহাদুরীর খবর পত্রিকায় পাওয়া যতো। তবে সেটি ছিল দখলদারী আমল। মুসলিম লীগের দখলদার পুলিশ তাদের প্রভুদের মাসিক মাসোহারা আদায় করতো এভাবেই। এ অপকর্মটি তারা শিখেছিল দখলদার ভিনদেশী ইংরেজ শাসকদের অনৈতিক আসকারায়। চালিয়ে গেছে পুরো পাকিস্তানী আমল এবং স্বাধীনতা পরবর্তী দুই-আড়াই দশক।
ইংরেজরা মোগলদের মত এদেশে বসত স্থাপন করেনি। তারা এদেশ থেকে শুধুই নিয়ে যেতে এসেছিল। নিয়েছেও। তাদের শাসন ও শোষণ করে নেয়ার সেসব বেনিয়া প্রক্রিয়ার মাঝে একটি ছিল পুলিশী অত্যাচার।