লন্ডন: শুক্রবার, ২৪শে চৈত্র ১৪২৩।। আজ থেকে ২ বছর ৬ মাস ২৩দিন আগে বৃটেনের টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবর ডানিয়েল নামের একজন তার টুইটারে আজ পত্রস্ত করেছেন। কিন্তু ডানিয়েল আজ কেনো এটি টুইটারে দিয়েছেন তা আমার মতো নগন্য এক টুইটার ব্যবহারকারীর মগজে ঢুকার নয়। তবে খবরটি নিঃসন্দেহে খুবই চমকপ্রদ।
সে ২০১৪ সালের এক কাহিনী। ওই সময়ের ১৪ই অক্টোবর বৃটেনের টেলিগ্রাফ লিখেছিল- “একটি পোষা টিয়া যা কি-না বৃটিশ উচ্চারণে কথা বলতো, যখন সে ঘর থেকে হারিয়ে যায়, আবার ফিরে এসেছে তার মালিকের কাছে তবে পাখিটি এখন স্পেনিশ উচ্চারণে কথা বলে।”
মালিকের কাছে পুনঃরায় ফিরে আসার চমক লাগানো কাজটি সম্পন্ন করেন দক্ষিন কেলিফোরনিয়ার একজন পশু চিকিৎসক। টিয়াটির নাম হল ‘নাইজেল’। ওই পশুচিকিৎসক তার হারিয়ে যাওয়া পাখি মনে করেছিলেন আফ্রিকান ‘গ্রে’ টিয়া ওই নাইজেলকে।
‘তেরেসা মিকক’ নামের ওই পশু চিকিৎসক টিয়াপাখি নাইজেলের মাইক্রোচিপ তরেসে বসবাসকারী একজন বৃটিশ ডারেন চিককে দেন। তেরেসা মিকক বলেন- “আমি যখন তাকে জিজ্ঞেস করি, তুমি কি একটি পাখি হারিয়েছো? উত্তরে ডারেন বলেন না। তিনি মনে করেছিলেন যে অদ্য কোন পাখি হারিয়ে যাবার বিষয়ে আমি আলাপ করছি।” কিন্তু তাকে যখন চিপখানা দিলাম আর তিনি তা পরীক্ষা করে দেখে আমার দিকে হা করে তাকিয়ে রইলেন। তিনি বললেন তার আফ্রিকান গ্রে টিয়াটি চারবছর আগে হারিয়েছিল।
দারেন চিক বলেন গেল সপ্তাহে আমার পাখিটি পাওয়ার পর আমার কান্না এসে যায়। অবশ্য সে ছিল আমার আনন্দাশ্রু। তিনি আরও বলেন পাখিটির বৃটিশ উচ্চারণ চলে গেছে এবং এখন সে স্পেনিশ উচ্চারণে কথা বলে।
পশু চিকিৎসক মিকক, ৫টি হারিয়ে যাওয়া পাখিকে তাদের মালিকের সাথে ফের মিলিয়ে দিতে পেরেছেন এ পর্যন্ত। দুঃখের বিষয় মিকক ৯ মাস যাবৎ তার পাখি হারানোর বিজ্ঞাপন দিয়েই যাচ্ছেন কিন্তু এখনও কোন সুরাহা হয়নি।
একজন জুলিসা স্পার্লিং প্রথমে পান টিয়াপাখি নাইজেলকে তার বাড়ীর বাইরে। মিককের পাখি হারানোর বিজ্ঞাপন দেখে তার কাছে নিয়ে আসেন পাখিটি।
জুলিসা প্রথমে তার কুকুর প্রজনন ব্যবসায় নিয়ে যান টিয়া নাইজেলকে। তিনি বলেন, টিয়াটি খুবই মজার পাখি। সারাদিন আমার ব্যবসার ওখানে গান গাইছিল আর মাঝে মাঝে কুকুরের মত ঘেউ ঘেউ করছিল। জানেন, আমিতো একজন স্পানিশ। আর ও আমাকেই বলছিল স্পেনের ভাষায়-“কি ঘটেছে”।
২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে একটি লড়াকু টিয়া পাখি তার মালিককে রক্ষা করেছিল যখন তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়া হয়েছিল।