1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
নানা রংয়ের মানব রুচি - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন

নানা রংয়ের মানব রুচি

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৯
  • ১০১৮ পড়া হয়েছে
ভেনগগের আঁকা উদোম নারী

[fvplayer id=”21″]

রুচির কত রূপ! তবে কোনটা যে কুরুচি আর কোনটা যে সুরুচি তাও ইদানিং অনুমানে আনা খুবই কঠিন। একজন যেকাজকে কুরুচি মনে করে অন্য বহুজন সে কাজকে সুরুচি না বললেও বিনোদন বলে কাজ করে যায়। মানবী দেহের, পোষাকে ঢাকা সৌন্দর্য্যকে, একপক্ষ মানুষ রুচিসম্মত বলে মত পোষণ করেন। আবার অনেকেই প্রশ্ন তুলেন এই বলে যে, পোষাক ছাড়া উদোম নারী দেহের সৌন্দর্য্য বেশী বিনোদিনী। এই মাত্র সত্তুর হাজার বছর আগে মানুষ শরীর ঢাকতে শিখে বলে গবেষকদের অনুমান। অনেকেই মনে করেন একলাখ সত্তুর হাজার বছর আগ থেকেই মানুষ শরীর ঢেকে রাখা শুরু করে। এর কারণ মনে করা হয় অপার ঠাণ্ডা থেকে শরীর বাঁচানোর জন্যই মানুষ শরীর ঢাকতে আরম্ভ করেছিল। কোন ধরনের রুচিবোধ থেকে নয়। পরে রুচি ও ব্যবসা আননয়ন করে তাকে সঙ্গায়িত করা হয়েছে।
মানুষের উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর মৃত্যুভয়ের কাহিনী ‘গিলগামেশ’কেই পৃথিবীর প্রথম মহাকাব্য বলে মনে করা হয়। ইউফ্রেটিস নদীর তীরে উরুকের রাজা গিলগামেশ ছিলেন তার নায়ক। ‘গিলগামেশ’ নামের এই মহাকাব্য মাটির টালির গায়ে কিউনিফর্ম লিপিতে লেখা। সেই ‘গিলগামেশ’ কাহিনীর আদম আর হাওয়া তো উলঙ্গই ছিলেন স্বর্গপুরীতে। আল্লাহ তাদের উলঙ্গনমুনায়ই মাটির এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। সে নিয়ে এ পর্যন্ত ব্যাখ্যা আর গল্পতো অগুণতি। এখনও সকল প্রাণীই আমাদের তথাকথিত ভাষা ‘উলঙ্গ’ হয়েই জন্ম নেয়। আজ থেকে অনুমান দশ লাখ বছর আগে থেকে মানুষ তার শরীরের লোম খোয়াতে শুরু করে। আর তখন থেকেই প্রানহরণকারী অসীম ঠাণ্ডা থেকে শরীর রক্ষার তাগিদে মানুষ শরীরকে ঢাকতে শুরু করা শিখে। ফলে বলা যায়, শরীর ঢেকে রাখা রুচির কিছুই ছিলনা। ছিল প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থেকে প্রান রক্ষা।

শিল্পী অরলি ফায়া

বিশ্বখ্যাত অংকন শিল্পী ভেনগন থেকে শুরু করে বহু খ্যাতিমান অংকন শিল্পী ও ভাস্কর মানবীর খোলামেলা শরীরকে বেশী বিনোদিনী বলেই অংকন করেছেন। বানিয়েছেন কাল বিজয়ী ভাষ্কর্য্য। এই সেদিনেও শিল্পী অরলি ফায়া নিজে উদোম নারীমূর্তির ভাবসৌন্দর্য্য ও বিনোদনের প্রতীক হিসেবে সাগর উপকূলে বসা নিজের ছবি এঁকেছেন ।

এমনিভাবের একটি ভিডিও অনেক আগেই আমাদের কাছে আসে। প্রয়োজন ও সময়োপযোগীতা নিয়ে বহু আলাপ-আলোচনা করতে অনেক সময় লেগে যাওয়ায় ভিডিওখানা করতেও দেরী হয়ে গেলো।  প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নির্বাচন জেতার পর সম্ভবতঃ পাকিস্তানের কিছু রাজনৈতিক অনুসারী কোন এক যুবতীর এমন উদোম নৃত্যের আয়োজন করেন। ভিডিওটি দেখেই বুঝা যায় এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরী করা হয়েছে। নতুবা এমন ন্যাংটা নাচের আয়োজনের কারণ কি শুধুই লাম্পট্য? অবশ্যই না। এখানে অবশ্যই কিছু মানুষের মূলগত কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। নাচের এমন আয়োজন গোপনে হতে পারে। কিন্তু ভিডিও করে গণমাধ্যমে প্রকাশ করায় স্পষ্টই বুঝা যায়, নিশ্চয়ই কোন না কোন উদ্দেশ্য রয়েছে।

ভেনগগের আঁকা উদোম নারীর ছবি।

ভিডিওখানা দেখে বুঝার উপায় নেই এটি পাকিস্তানের না-কি ভারতের। তবে গানের কথায় পাকিস্তান শব্দটি রয়েছে এবং গানে উচ্চারিত হতে শুনা যায়। যেখানেরই হোক না কেনো এটি যে খুব একটি সুস্থতার পরিচায়ক নয় তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। বিশেষ করে পাকিস্তানী ধর্মচিন্তায় এ ধরনের ছবি অংকন বা ভিডিও নির্মাণ নৈতিকভাবে চরমরূপে নিষিদ্ধ।
একজন বান্ধব জানালেন, উদ্দেশ্য কিছুই না স্রেফ গুগলের বিজ্ঞাপন প্রাপ্তি! বিজ্ঞাপন তারা পেয়েছেন কি-না আমাদের আর জানার সৌভাগ্য হয়নি। অর্থ উপার্জনের জন্য মানুষ কেমন হারে নিজের সংস্কৃতি থেকে বিচ্যুৎ হতে পারে ভিডিওখানা তারই একটি উপভোগ্য প্রমান।
এ ছাড়াও নারী দেহের এমন কামরূপে উপভোগকেই মনে হয় অনাচার বলে। যেখানেই হোক এমন অনাচারটি ঘটেছে। কেউ আটকাতে যে পারেননি এটিই সত্য। নারীদের আমরা কি নমুনায় দেখতে চাই ভিডিও খানা তারও কিছুটা আভাস দেয়। সে নীতি হোক বা নীতিনৈতিকতাহীন হোক।
যারা ভিডিওখানা তৈরী করেছেন তাদের আত্মিক উদ্দেশ্য সঠিকভাবে বুঝা খুবই কঠিন। তবে বিগত পাকিস্তানী নির্বাচনের বেশ পরে কে বা কারা এটি আমাদের কাছে পাঠান। হয়তো তাদের উদ্দেশ্য ভারত বা পাকিস্তানকে একটু হাস্যকর হিসেবে তুলে ধরা।
আমরা শুধু পাঠক সকলের সাথে এর মর্মে পৌঁছার লক্ষ্যে এখানে পত্রস্ত করলাম। হয়তো অনেকেরই কিছুটা সাময়িক বিনোদনের উৎস হলেও হতে পারে।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT