সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচেগেলো ৩টি কানিবগলা পাখী। এলাকার দুই শিকারী জাল দিয়ে পাখি ৩টিকে ধরেছিল বিক্রির জন্য। দীর্ঘদিন ধরে তারা জাল দিয়ে পাখী ধরে বিক্রি করাকে পেশা হিসেবেই চালিয়ে আসছিলেন। আব্দুল হক ও সুনীল নামের এ দু’জন শিকারী দীর্ঘদিন ধরে জাল দিয়ে পাখী শিকার করে এলাকার ধনাট্য ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করে তাদের জীবিকানির্বাহ করে আসছিল। কিন্তু গতকাল শুক্রবার তাদের চিরপরিচিত পুরাতন এ ব্যবসায় বাধ সাধলো এলাকার তাদেরই পরিচিত এক মুদিদোকানি।
পাখি ৩টিকে শিকার করে শিকারী দু’জন যখন বিক্রির জন্য বাজারের পাকা পথ দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল তখন পাশের মুদিদোকানি বিশু চাষা বাধসাধে। সে এলাকার পরিচিত আরো কিছু মানুষজনকে নিয়ে শিকারী দু’জনের পথ আটকে দাঁড়ায়। বিশুর কথা এলাকায় আসা-যাওয়া করা নিরীহ পাখি শিকার কোনভাবেই ঠিককাজ নয়। এতে পরিবেশেরও অপরিসীম ক্ষতি হয়।
উপস্থিত মানুষজনের হুমকি ধামকিতে শিকারী দু’জন কানিবক ৩টিকে সকলের সামনেই পাশের খালি জমিতে ছেড়ে দেয়। পাখি ৩টি অবশেষে প্রান ফিরে পায়। শিকারী দু’জনই তাদের এহেন কাজ যে মোটেই ঠিক নয় তা আন্তরিকভাবে বুঝতে পারেন এবং ভবিষ্যতে আর কখনও এমন করবেন না বলে মানুষজনকে নিশ্চিত করে পাখিগুলো মুক্ত করে দেন।
পাখী, প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার এমন মনোমুগ্ধকর ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার জুড়ি উপজেলার ধামাই চা-বাগানের গৌরাঙ বস্তি এলাকায়। দুই শিকারী আব্দুল হক(৫৪) ও সুনীল(৫৫)এর বাড়ী পাশের উপজেলা বড়লেখার দক্ষিণভাগ(দক্ষিণ) ইউনিয়নের কলাজুরা গ্রামে।