পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায় ৩টি তদন্ত দল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রেনের স্টাফদের গাফিলতি ও আগুন নেভানোরও কোন ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই ট্রেনের যাত্রী ও স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মতিন ও পতনউষার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. সিরাজ খাঁ জানান, আগুন জ্বলা অবস্থায় ট্রেন চলতে দেখে এলাকার লোকজন চিৎকার করেন ও ট্রেন থামানোর জন্য সংকেত দিতে থাকেন। ট্রেন থামানোর পর সবাই নেমে চলে যেতে থাকেন। তখন এলাকার লোকজন বালতি, কলস নিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে ট্রেনে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা খুবই দুর্বল ছিল বলে তারা মন্তব্য করেন।
ট্রেনের আরও এক যাত্রী আব্দুর রহিম জানান, অনেক যাত্রীর মোবাইল ফোন, মালামাল হারিয়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া একটি বগিতে থাকা এক ব্যক্তির চার লক্ষাধিক টাকার শুধু সুপারি পুড়ে গেছে। তাছাড়া অনেক মালামাল পুড়ে গেছে।
ট্রেনের আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় শমশেরনগরের স্থানীয় সংবাদকর্মী কামরুল হাসান ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস পাঠানোর আহ্বান জানান।
ট্রেনের আগুন লাগার ঘটনায় মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের একটি ও রেলওয়ের দু’টি কমিটি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। রোববার রেলওয়ের সিলেট অঞ্চলে প্রধান ট্রাফিক কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দীনের নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট রেলওয়ের একটি তদন্তদল পারাবত অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল কমলগঞ্জের পতনউষার ইউনিয়নের চক কবিরাজি এলাকা পরিদর্শণ করেন। এ তদন্ত দলে আরও ছিলেন রেলওয়ের সিলেট অঞ্চলের সহকারি ট্রাফিক কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ও ট্রাফিক কর্মকর্তা রুবেল আহমেদ। এছাড়াও মৌলভীবাজারের ফায়ার সার্ভিস প্রধান হারুন পাশাও শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ সিরাজ জিন্নাতকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট ও রেলওয়ের চিফ ইলেক্টক্টিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অজয় পোদ্দারকে প্রধান করে ৩ সদস্যের অপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিলেট রেলওয়ের পরিবহন পরিদর্শক তৌফিকুল আজিম দু’টি তদন্ত কমিটি গঠনের সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে এবং আগামী ৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।