‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চা বোর্ড এর উদ্যোগে আগামীকাল ৪ জুন বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন এবং প্রথমবারের মত “জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩” প্রদান করা হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ চা শিল্পের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই দিবসটি তৃতীয়বারের মত যথাযোগ্য মর্যাদায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে শ্রীমঙ্গলে পালিত হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি আজ শনিবার বিকেলে চা বোর্ড পরিচালিত ‘টি রিসোর্ট এন্ড মিউজিয়ামে’র কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফিংর মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানান, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪জুন ১৯৫৭ সাল থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মন্ত্রী বলেন, চা শিল্পে জাতির পিতার অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তার যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে গত ২০ জুলাই ২০২০ সালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে “জাতীয় চা দিবস” ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর আমরা তৃতীয়বারের মত দিবসটি উদযাপন করতে যাচ্ছি।
টিপু মুনশি আরও বলেন, দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয় চা। সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানে ১৮৫৪ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু করা হয়। ধীরে ধীরে এ অঞ্চলের অন্যতম সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে চা শিল্প বিকশিত হতে থাকে। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে ব্রিটিশ শাসনাধীন উপমহাদেশের এ অঞ্চলে চা শিল্পের প্রভূত অগ্রগতি সাধিত হয়েছিল।
চা শ্রমিকদের চা শিল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন আখ্যায়িত করে মন্ত্রী বলেন, এ বছর চা শ্রমিকদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চায়ের রাজধানী বলে পরিচিত শ্রীমঙ্গলে বিটিআরআই হাইস্কুল মাঠে জাতীয় চা দিবসের মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দেশের চা শিল্পে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন চা কোম্পানি ও ব্যক্তিকে ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে এ বছর প্রথমবারের মত ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম এনডিসি পিএসসি, পিডিইউর পরিচালক ড.একেএম রফিকুল হক, চা বোর্ডের সদস্য(অর্থ ও বাণিজ্য) মোহাম্মদ নুরুল্লা নুরী, সদস্য কামরুল আমিন প্রমুখ।