1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
প্রধানমন্ত্রী দ্বারা দৈনিক ১৭০টাকা মজুরীর ঘোষণায় চা শ্রমিকগন কাজে ফিরেছেন - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন

প্রধানমন্ত্রী দ্বারা দৈনিক ১৭০টাকা মজুরীর ঘোষণায় চা শ্রমিকগন কাজে ফিরেছেন

আব্দুল ওয়াদুদ॥
  • প্রকাশকাল : রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২
  • ৬৪৬ পড়া হয়েছে
বাংলাদেশে চা-শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর দাবীতে ধারাবাহিক ১৯দিন আন্দোলন ধর্মঘট চলার পর প্রধানমন্ত্রী দ্বারা ১৭০টাকা দৈনিক মজুরী ঘোষণার পর আজ রোববার ২৮ আগষ্ট ২০২২ইং চা-শ্রমিকগন তাদের ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। শ্রমিকেরা আগামীকাল ২৯ আগষ্ট সোমবার থেকে কাজে যোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে উক্ত সূত্র জানিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, “বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন”এর ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক শুরু হয় গতকাল শনিবার। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে প্রতিনিধিদলের দীর্ঘ বৈঠক চলে। দশ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর গত কাল শনিবার ২৭ আগষ্ট এই ঘোষণা দেয়া হয় বলে সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গেছে।
চা শ্রমিকদের আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ। ছবি: সৈয়দ সায়েদ আহমদ
দেশের চা শ্রমিকদের এই আন্দোলন নিয়ে বিবিস বাংলা খুব বিস্তারিত করে খবর দিয়েছে-

“বাংলাদেশে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার বিকালে গণভবনে চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমেদ কায়কাউস।

এর আগে শ্রমিকরা ১২০ টাকা দৈনিক মজুরি পেতেন। ফলে তাদের দৈনিক মজুরি বাড়ল ৫০ টাকা।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের আবাসন, রেশনসহ অন্যান্য যেসব সুযোগসুবিধা দেয়া হয়, তার সঙ্গে এই দৈনিক মজুরি মিলিয়ে তাদের প্রতিদিনের আয় ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা হবে।

এর সঙ্গে আনুপাতিকহারে শ্রমিকদের বোনাস, বার্ষিক ছুটি ভাতা, বেতনসব উৎসব ভাতা, অসুস্থতাজনিত ভাতা ইত্যাদিও বাড়বে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে শ্রমিকদের সবাইকে কাজে যোগ দেয়ার জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

গত ৯ই অগাস্ট থেকে দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে চা বাগানগুলোর প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক। শ্রমিকেরা বলছেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতির যে অবস্থা তাতে দৈনিক ১৪৫টাকা মজুরি তাদের জন্য একেবারেই পর্যাপ্ত নয়। সে সময় প্রতিদিন দু’ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করলেও, ১৩ই অগাস্ট থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেন।”


চা-শ্রমিক ধর্মঘট। ছবি: রামলাল রাজভর
চা শ্রমিকদের এ ধর্মঘট নিয়ে আমাদের প্রতিনিধি আব্দুল অদুদ মৌলবীবাজার থেকে জানান-

৩ দফা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে ফের ধর্মঘটের পর

মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানে কাজে ফিরেছেন চা শ্রমিকরা

দেশের চলমান চা শ্রমিকদের দীর্ঘ ১৯ দিন কর্মবিরতির পর রোববার(২৮ আগষ্ট) সকাল থেকে মিছিল সহকারে কাজে ফিরেছেন চা শ্রমিকরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে খুশি হয়ে ঢাকাস্থ চা বাগান মালিকদের সাথে বৈঠকের পর পরই তারা আনন্দ মিছিল দিতে থাকে জেলার বিভিন্ন চা বাগানে। চা শ্রমিকরা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে আমরা ভীষন খুশি। তাই আমরা কাজে ফিরেছি। রোববার জেলার বেশ কিছু বাগানে সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও চায়ের ক্ষতি পুষাতে বন্ধের দিনও বাগানে কাজের উদ্যেশ্যে ফিরেছেন তারা।

এদিকে জেলার কুলাউড়ায় উপজেলায় অবস্থিত এইচ আর সি গ্রুপের মালিকানাধীন ক্লিবডন চা বাগান ব্যবস্থাপক হাসীবুল ইসলাম রোববার বেলা সাড়ে ১০টায় জানান, তার বাগানের শ্রমিকরা কাজে যাবার জন্য বাগানের এক পাশে জড়ো হচ্ছেন।
রাজনগর উপজেলায় অবস্থিত উত্তরভাগ ও ইন্দানগর চা বাগান ব্যবস্থাপক মোঃ লোকমান চৌধুরী জানান, রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন জেনেও শ্রমিকরা তার বাগানে কাজে ফিরেছেন। মনীপুর চা বাগান ব্যবস্থাপক জাফর ইকবাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে খুশি হয়ে তার বাগানে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রিয় চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেল পাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানের শ্রমিকরা রোববার সকাল থেকে কাজে ফিরেছেন। তিনি বলেন, রোববার জেলার সিংহভাগ চা বাগানে শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও চলমান কর্মবিরতির ক্ষয়ক্ষতি পুষাতে চাইছেন শ্রমিকেরা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার পর পর রাতে ফেইসবুকে শ্রমিকদের তরফ থেকে কিছু মানুষ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এটায় আমরা কর্ণপাত করবো না।

উল্যেখ্য, দৈনিক ৩শ টাকা মজুরির দাবীতে গেল ৯ আগষ্ট থেকে ১২ আগষ্ট পর্যন্ত দিনে ২ঘন্টা ও ১৩ আগষ্ট থেকে ২৭ আগষ্ট পর্যন্ত পূর্ণদিবসসহ মোট ১৯ দিনের কর্মবিরতিতে সারা দেশের সাথে মৌলভীবাজার চা শিল্প বিশাল ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

চলতি ধর্মঘটে মৌলভীবাজার জেলায় চা ফ্যাক্টরীর দৈনিক ক্ষয়ক্ষতির একটা পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে। জেলার কয়েকটি চা বাগান ব্যবস্থাপকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলমান কর্মবিরতিতে মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানে প্রতিদিন প্রায় ১৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে। এই হিসেবে জেলায় শুধু পুরো ১৫দিনের কর্মবিরতিতে ২২০ কোটি ৮০ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে। এর আগে শ্রমিক নেতারা পর পর ৩ দফা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে ফের ধর্মঘটে যোগ দিলে চা শিল্পাঙ্গনে ধোয়াশা বিরাজ করে। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সিদ্ধান্তকে তারা স্বাগত জানিয়ে রোববার কাজে ফিরে যায়।


উনিশ দিন ধরে বন্ধ ছিল চা পাতা তোলা। ছবি: অন্তর্জাল

 

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT