কলাগাছের সুঁতা দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পোশাক তৈরি বিষয়ক ২০দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করলেন মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জহুরা আলাউদ্দিন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে।
উদ্যোক্তা ও তাঁত প্রতিনিধি এবং ইউসি সদস্য মো: রবিউল ইসলাম রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মোছা: সালেহা বেগম ও কলাগাছের সোঁতা দিয়ে শাড়ী তৈরিকারী মনিপুরী নারী রাধাবতী দেবী।
সংশ্লিষ্টরা জানান রাধাবতী দেবী নিজেই প্রশিক্ষক হিসেবে এখানে থাকবেন। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৩০ জন মনিপুরী নারীরা প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেন। ১১ সেপ্টেম্বর প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে এবং আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্তি হবে।
গতকাল শ্রীমঙ্গলে চা পাতার গুদামে বাংলাদেশ চা বোর্ডের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের খবর মুক্তকথ সহ দেশের অধিকাংশ সংবাদপত্র ও অনলাইন সংখ্যায় প্রকাশ হয়েছিল। এ অভিযানে বেরিয়ে আসে নকল প্যাকেজিং কারখানা সহ অনেক মোড়ক বাঁধাইয়ের উপকরণ। পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ অবৈধ, মেয়াদ উত্তীর্ণ চাপাতাসহ ও বিভিন্ন নামিদামি ব্রান্ডের চা পাতার মোড়ক। এছাড়াও ভ্রাম্যমান আদালত সোনার বাংলা রোডস্থ ওই তানভির টি হাউসের ৭ টি গুদাম থেকে ৩,০২৫ কেজি অবৈধ চা জব্দ করে। আজ তাদের থেকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার(২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীনের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমান আদালতে পরিচালিত হয়েছিল এবং শহরের সোনার বাংলা রোডস্থ তানভীর টি হাউসের চা পাতার গুদামে অভিযান শুরু করে।
চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গতকাল ১ম দিনের অভিযানকালে তানভীর টি হাউসের মূল মালিক সমর মিয়াকে পাওয়া যায়নি এবং বৃষ্টির কারণে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করা যায়নি। এসব ভালো করে যাচাই-বাছাই করার জন্য ৭ টি গুদামই ভ্রাম্যমান আদালত সিলগালা করে রাখে।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার পর প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানা যায়, আজ শুক্রবার(২২ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সোনার বাংলা রোডে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটিতে দ্বিতীয় দিনের মত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় চা ক্রয়ের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় প্রায় ৬ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের ৩,০২৫ কেজি অবৈধ চা জব্দ ও ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গতকালের (২১.০৯.২০২৩খ্রি.) অভিযানে তানভীর টি হাউজ থেকে বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্যান্ডের বিপুল পরিমাণ নকল চা প্যাকেট এবং সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে আসা চোরাই চা জব্দ করে ৭টি চায়ের গুদাম সাময়িকভাবে বন্ধ করে আদালত।
আজ (২২.০৯.২০২৩খ্রি.) এসব গুদামে প্রতিষ্ঠানের মালিক সমর মিয়ার উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ চা জব্দ করে আদালত।
অভিযান বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমাদের অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো, চা শিল্পের উন্নয়ন। চায়ের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করা এবং বৈধ ব্যবসায়ীদের সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা। যারা বৈধ ব্যবসায়ী তারা যেন এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারে, এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এজন্যই অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এক প্রশ্নের উত্তরে ভারতীয় অবৈধ চায়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, বৈধভাবে যদি ভারত থেকে চা আসে এতে আমাদের বলার কিছু নেই। সরকারের নিয়মনীতি মেনে টেক্স দিয়ে যদি কেউ ভারত থেকে চা আমদানি করে বা ব্যবসা করে তা’হলে কোন সমস্যা নেই। মূল কথা হলো, চা ব্যবসায় অবৈধ কোন কিছু করার সুযোগ আমরা দেব না। এক্ষেত্রে ভারতীয় চা হোক বা দেশের চা হোক, সর্বক্ষেত্রে বৈধ কাগজপত্র যেমন থাকতে হবে তেমনি মান নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারেও আমাদের কড়া নজরদারি থাকবে।
অভিযান বিষয়ে মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, “প্রতিষ্ঠানটি আইন অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে নিলাম বহির্ভুত অবৈধ চা মজুদ এবং বিপণনের সাথে জড়িত। এতে একদিকে অস্বাস্থ্যকর নিম্নমানের চা ভোক্তাদের কাছে পৌছে যাচ্ছে অন্যদিকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা পঞ্চগড় থেকে এই অভিযান শুরু করেছি। এটি আমাদের দেশব্যাপী অভিযান। পঞ্চগড়ে ১০ দিন, এরপর চট্টগামে ১৫ দিনব্যাপী অভিযানের পর গত বুধবার থেকে শ্রীমঙ্গলে শুরু করেছি। চায়ের অবৈধ ব্যবসা বন্ধে সারাদেশে এ ধরণের অভিযান চলমান থাকবে।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন চা বোর্ডের বিপণন কর্মকর্তা আহসান হাবিব, চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল।
জেলা সদরে ইউএস এইড এর সার্বিক সহযোগিতায় ও নিউজ নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনিউজের আয়োজনে ৩ দিনব্যপী ইলেকশন রিপোর্টিং প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা গত মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শহরের একটি অভিজাত হোটেলের হল রুমে শুরু হয়েছে। উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল হাজ্ব মিছবাহুর রহমান।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিউজ নেটওয়ার্কের সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুজ্জামান, ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর জিয়াউর রহমান, নিউজ নেটওয়ার্কের প্রোগ্রাম স্পেশালিষ্ট রেজাউল করিম, সিনিয়র সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ, ফারহানা রহমান ও ইন্টার নিউজের বাংলাদেশ প্রোগ্রাম কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন। জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রশিক্ষণটি চলবে।