1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
ফকরুলের বক্তব্য-"জনগন নির্বাচন হতে দিবেনা..." ও কিছু কথা - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন

ফকরুলের বক্তব্য-“জনগন নির্বাচন হতে দিবেনা…” ও কিছু কথা

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ৭৬৬ পড়া হয়েছে

হারুনূর রশীদ।।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সরকারের পদত্যাগ ও জেলবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবী করেছে বিএনপি। খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, বিএনপি দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এক সভায় বলেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্বাচনের আগেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, সেনা মোতায়েন করতে হবে। দাবীতে আরো এমন যোগ করেছেন ফকরুল। নতুবা দেশে কোনো নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না। এমনি হলো ফকরুলের সাফ কথা।
ফকরুল বলেছেন দেশে অপশাসন চলছে! ফকরুলকে এমন কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন সরকারের আমলা কর্তা ও কর্মচারীগনের অদক্ষ কার্য্যকলাপ এবং সরকারী দলের ভেতরের দলাদলি। সে ভিন্ন বিষয়।
মনে করিয়ে দেয়া ভাল ১৯৭৫ সালের ১১ নভেম্বর বেতার ও টেলিভিশন ভাষণে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, “আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি একজন সৈনিক।… রাজনীতির সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই এবং আমাদের সরকার সম্পূর্ণ নির্দলীয় ও অরাজনৈতিক।” 

মহামতি সেই জিয়াউর রহমানই পরবর্তীতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল সংগঠনে মনোনিবেশ করেছিলেন এবং বেশ সফলভাবে গঠনও করেছিলেন। কারণ অবশ্য তখন তার সামনে কোন শক্তিশালী বিপক্ষশক্তি ছিল না। একসময়ের ছাত্রলীগ নেতা পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ নেতা শাহ মোয়াজ্জেম তখন রাজনীতির দুষ্টগ্রহ খুনী খন্দকার মোশ্তাক গঠিত ডেমোক্রেটিক দলের সাধারণ সম্পাদক।
কিছুটা দুঃখজনক হলেও হাসি পাওয়ার মত, এই শাহ মোয়াজ্জেমের একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করে গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ তার বইতে লিখেছেন, “বঙ্গভবনে যাচ্ছি বলে আনন্দিত হয়েই গাড়িতে গিয়ে বসলাম। বসে বসে ভাবছিলাম আলাদা কী আলোচনা করতে পারেন প্রেসিডেন্ট সাহেব! ওয়ারী থেকে বঙ্গভবন পাঁচ মিনিটের রাস্তা। কিন্তু দশ মিনিটের ওপর হয়ে গেল গাড়ি চলছেই। বিষয় কী? বাইরে তাকাতেই বুঝতে পারলাম, বঙ্গভবনের রাস্তা এটা নয় – অন্যদিকে নিয়ে যাচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম, আমার তো বঙ্গভবনে যাবার কথা, আপনারা আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? তারা এবার আর মিথ্যার আশ্রয় নিল না। বলল, স্যার, যাবেন আপনি ঠিকই, তবে বঙ্গভবনে নয়। আপাতত ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে। ঘৃণায় তাঁদের দিকে ফিরেও তাকালাম না। এ ঘৃণা সে লোকটির জন্য যে এতো বড় উচ্চাসনে অবস্থান করেও এমনই নিচু স্তরের প্রবঞ্চনা এবং অহেতুক নিপীড়নের পন্থা বেছে নিতে পারে…” (সূত্র: বিবিসি নিবন্ধ ২০১৭ সালের ১লা সেপ্টেম্বর)।
এভাবেই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে উঠিয়ে নিয়ে অরাজনীতিবিদ সৈনিক প্রয়াত জিয়াউর রহমান রাজনীতিতে আসেন এবং দল গঠন করেন। এই পথ ধরে ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল’ বা ‘জাগদল’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল তৈরির ঘোষণা দেন। তিনি নিজে ছিলেন এর নেপথ্য নায়ক। এরও কিছু পরে সামরিক শাসনের অধীনে ১৯৭৮ সালেই বিএনপি গড়ে তুলেছিলেন।
কাহিনীর এখানেই শেষ নয়। আবারো অনেকটা হাস্যকর হলেও এমনটি ঘটেছিল। অনেকটা তার উস্তাদ পাকিস্তানের আয়ূবের পথ বেঁচে নিয়েছিলেন। একটি অহেতুক অনেকটা পাতানো যুদ্ধের মত, ১৯৬৫সালে, ভারতের সাথে যুদ্ধ বাঁধিয়ে বলা বাহুল্য সে যুদ্ধে হেরে গিয়েও আয়ূব নিজেই নিজেকে ফিল্ড মার্শাল উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। আর ১৯৭৮ সালের ২৮ এপ্রিল জিয়াউর রহমান নিজেই নিজেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসেবে পদোন্নোতি দিয়েছিলেন। ১৯৭৮ সালের ১লা মে জিয়াউর রহমানকে চেয়ারম্যান করে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট’ ঘোষণা করা হয়েছিল। জিয়া সেনাবাহিনীর প্রধান থেকেও পুরোপুরি রাজনীতিবিদ হয়ে গেলেন।
অজানা-অজ্ঞাত গোপন বহু নেপথ্য কীর্তির ভেতর দিয়ে গড়ে উঠা ওই দলটির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন হয় গত শনিবার বিকেলে রাজধানী ঢাকায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। আর এ উপলক্ষে যে সভা চলছিল সে সভায়ই ফকরুল বক্তব্য রাখছিলেন।
ওখানে ওই সভায় কথা বলতে গিয়ে নিজের অজান্তেই সম্ভবতঃ মির্জা ফখরুলের মুখ ফুটে আসল কথাটি বেরিয়ে এসেছে। এতোদিন তারা বলতেন একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু ওই সভায় তিনি বললেন- “আজ আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে…”। তিনি অবশ্য আরো বলেছেন- সব রাজনৈতিক দল, সংগঠনকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। জনগণের দাবি আদায় করতে হবে। অপশাসনকে পরাজিত করতে হবে। জাতিকে মুক্তি দিতে হবে।
বেশ ভাল কথা, এতোকিছু ফকরুল বললেন কিন্তু একটিবারও বললেন না তাদের কথা, যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এখনও ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে, তলে তলে জঙ্গী-মৌলবাদীদের সাথে হাত মিলিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে একটি নব্য পাকিস্তান বানানোর ষঢ়যন্ত্রে লিপ্ত আছে, তাদের বিষয়ে কিছু। এখনও তারা স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকাশ্য বিরুধীশক্তি রাজাকার, আলবদর, আলসামস-এর আধার জামাতে ইসলামের সঙ্গ ছাড়েনি।
অনেকেই বলেন, সরকার কেনো জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে না। বিগত নির্বাচন ছিল একতরফা। ইত্যাদি ইত্যাদি। একটি দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি বলেতো নির্বাচন বন্ধ থাকতে পারে না। এছাড়া একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সরকার কোন সময়ই কোন রাজনৈতিক দলকে বন্ধ করতে যায় না যতক্ষন না সে দল সমাজ, স্বাধীনতা, জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি হয়ে না দাঁড়ায়। ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যারা ছিল তাদের জীবিতরা এবং তাদের নতুন প্রজন্মের অনেকেই এখনও সেই চেতনা মাথায় নিয়ে রাজনীতিতে আছেন। অনেকেই প্রকাশ্যেই বলেন, আমরা ৯৫%ভাগ মুসলমান অতএব এটি হবে মুসলিম বাংলা। 
আমরা অনেকেই জানি তবুও উদাহরণটা দিয়ে রাখা ভাল যে, সৌদি আরব, সরকারিভাবে “সৌদি আরব সম্রাজ্য”। বাংলায় উইকিপিডিয়া লিখে- “আল-মামলাকাতুল-আরাবীয়াতুস-সূঊদিয়া”।
বলা বাহুল্য, ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠন সঠিক নয়। কারণ একটি রাষ্ট্রে অনেক ধর্মের মানুষ থাকতেই পারে। সংখ্যায় কেউ কম হবে কেউবা বেশী থাকবে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধায় সকলের সমান অধিকার থাকলেই সেটি হয় উন্নতমানের গণতান্ত্রিক সমাজ। 
রোববার, ২রা সেপ্টেম্বর ২০১৮সাল

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT