লন্ডন: শ্রীমঙ্গলের এক শেখ নোমান ফেসবুকে একটি পোষ্ট লিখে মনে করেছিলেন পক্ষে-বিপক্ষে বহু প্রতিক্রিয়া আসবে। লাইকতো পাবেনই। একমাত্র তিনিই জানেন, কেনো জানি তার মনে হয়েছিল যে, কোন দেশের প্রধান বিচারপতিকে প্রকাশ্যে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করা ঠিক নয়। কোন সে বোধ থেকে তিনি তার ফেইচবুক স্ট্যাটাচে পোষ্ট দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে। লিখেছিলেন-‘প্রকাশ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে তিনি বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছেন’।
কিন্তু বিধি বাম। লাইকের বদলে খেয়েছেন মামলা। শ্রীমঙ্গলেরই একজন আইনজীবী মোহাম্মদ এনায়েত কবির মিন্টু তার বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬ (সংশোধনী) ২০১৩ এর ৫৭ (২) ধারায় শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা ঠুকে দিয়েছেন।
এমনি একটি স্পর্শকাতর খবর সাইফুল ইসলামের বরাতে পরিবেশন করেছে ‘মৌলভীবাজার২৪.কম’ নামের একটি অনলাইন। বাদীর এজহারের বিষয়টি উল্লেখ করে অনলাইনটি লিখেছে, মামলার এজহারে বাদি উল্লেখ করেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে উক্ত সংবাদ প্রকাশের ফলে প্রধান বিচারপতির মানহানি ঘটেছে এবং এর কারনে স্বাধীন বিচার বিভাগ ও ব্যক্তির ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
বাদী উক্ত আইনজীবী আরও মনে করেন যে মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে হেয় প্রতিপন্ন ও তাঁহাকে বিতর্কিত করার হীন উদ্দেশ্যে উক্ত সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। বিচার বিভাগের কর্ণধার হিসেবে মাননীয় প্রধান বিচারপতির বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় গমন এবং যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার আইনগত ও ন্যায়ত অধিকার রয়েছে।
প্রাসঙ্গিকভাবেই বাদী তার এজাহারে অনুমান হলেও সম্ভাব্য একটি বিষয়ের উল্লেখ করে বলেন,‘মাননীয় প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগের দায়িত্ব গ্রহণের পর ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন করায় একটি কুচক্রী মহল বিভিন্নভাবে মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে ও বর্তমান সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন ও বিতর্কিত করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত রহিয়াছে। যিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উক্ত সংবাদ প্রকাশ করেছেন তিনি মৌলভীবাজার জেলাধীন শ্রীমঙ্গল থানার পৌর ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য। উক্ত সংবাদটি ফেসবুকে প্রকাশের ফলে জনমনে বিভ্রান্তি ও স্বাধীন বিচার বিভাগ এর ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হইয়াছে।’ শ্রীমঙ্গল পুলিশ ২১শে এপ্রিল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।