লন্ডন: বৃহস্পতিবার, ৬ বৈশাখ ১৪২৪।। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে চিঠি লিখেছেন, সে চিঠিতে মে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। টেরেসার কথায় বুঝা গেছে তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অভিভূত। তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যে কোনও প্রকল্পে সাহায্যের লম্বা হাত বাড়াবেন। বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে হাসিনার ভূমিকাকে খুব বড় করে দেখেছেন টেরেসা। তিনি জানেন, যে কোনও দেশের উন্নতির বড় মাপকাঠি সে দেশের মেয়েদের অগ্রগতি। মেয়েরা উপরে না উঠলে দেশ নীচেই পড়ে থাকবে। টেরেসা হাসিনার সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ চান। সন্ত্রাস নির্মূল করতে তিনি হাসিনার পাশে আছেন, বলেছেন।
এ নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার অমিত বসু লিখেছেন- বাংলাদেশ-ব্রিটেনের যোগাযোগ যতটা মনে মনে, সশরীরে ততটা নয়। ভিসার সমস্যা। বাংলাদেশের ইলিশ পৌঁছচ্ছে লন্ডনে। পাবদা, পঙ্গাস, চিতলও যাচ্ছে। সিলেটি হাতে ‘ফিস কারি’ খেয়ে ধন্য ধন্য করছে লন্ডনবাসী। মৎস গেলেও মনুষ্য প্রবেশ শিথিল। অমিত বসুর ভাষায়- টেরেসা কথা দিয়েছেন, ভিসা পাওয়া সহজ হবে। বাঙালির ব্রিটেন যাতায়াতে কোনও অসুবিধে থাকবে না। দু’দেশের পণ্য পরিষেবাতেও সমস্যা হচ্ছে। ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমান বন্দর থেকে লন্ডনে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট বন্ধ। তিনি আরো লিখেছেন- ব্রিটেনে বাংলাদেশের সব্জি যাচ্ছে ঘুরপথে। পথে দেরি হওয়ায় নষ্ট হওয়ার শঙ্কা। পরিবহণ ব্যয়ও বাড়ছে। দ্রুত সমস্যার সমাধানে আগ্রহী টেরেসা। ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে ঢাকা-লন্ডনের যৌথ উদ্যোগ। নিরাপত্তায় যেন কোনও ফাঁক না থাকে। আকাশ পথে সহজে পণ্য যাতে যেতে পারে নির্বিঘ্নে। অমিত বাবু আশার কথা শুনিয়ে লিখেছেন- হাসিনা-টেরেসার মনের মিল কাজে পরিণত হতে সময় লাগবে না।