লন্ডন: সোমবার।। বর্ণাঢ্য আয়োজনে স্টকহোমে উদযাপিত হল বাংলাদেশের ৪৭তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। সোমবার স্টকহোম শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শেরাটন হোটেলে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক এক জাকজমকপূর্ণ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠিত হয়। অভ্যর্থনায় স্টকহোমস্থ বিভিন্ন বিদেশী দূতাবাস-এর রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকবৃন্দ, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তাগণ, সুইডিশ সরকার ও পার্লামেন্টের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ীবৃন্দ, সুইডেন-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (এসবিবিসি)-এর নেতৃবৃন্দ এবং মুক্তিযোদ্ধাসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেয়।
অভ্যর্থনা উপলক্ষ্যে শেরাটন হোটেলের সংশ্লিষ্ট হল ও সংলগ্ন চত্বর বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়, যেখানে লাল-সবুজের সমাহার-ই প্রাধান্য পায়। অভ্যর্থনা হলের বাইরে বাংলাদেশের পাট, বস্ত্র, বিভিন্ন কুটির শিল্পজাত পণ্য, রংবেরং-এর মাটির পাত্র, জামদানি, নকশি কাঁথা, সিরামিকস পণ্য প্রভৃতি সামগ্রীর চোখ জুড়ানো প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ ও সুইডেনের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। এর পর একটি সংক্ষিপ্ত অথচ মনোজ্ঞ বাংলাদেশী নৃত্য পরিবেশিত হয় যাতে বাংলাদেশের সুদীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস, জীবন, সংস্কৃতি ও দেশাত্ববোধ শিল্পিত রূপ পায়। রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ গোলাম সারোয়ার তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং ত্রিশ লক্ষ শহীদদের রক্ত ও দুই লক্ষ মা-বোনের হারানো সম্ভ্রমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উপস্থিত অতিথিবৃন্দ রাষ্ট্রদূতের আহ্বানে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
অতিথিদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।-প্রেস রিলিজ।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্য সিনেট ও অ্যাসেম্বলিতে বাংলাদেশ ডে উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার পৃথকভাবে ‘বাংলাদেশ ডে’ উদযাপন করা হয়। নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির অগ্রযাত্রা, নানা ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিসহ বাংলাদেশ-আমেরিকার মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে দিবসটি উদযাপন করা হয়। এবারের অধিবেশনে পুরো মার্চ মাসকেই বাংলাদেশী হেরিটেজ মাস হিসেবে ঘোষণার পাশাপাশি ২৬ মার্চকে বাংলাদেশ ডে হিসেবে রেজুলেশন করা হয়।
নিউইয়র্ক শহর থেকে দেড়শ মাইল দূরে অলবেনির সিনেট ও অ্যাসেম্বলিতে বাংলাদেশ ডে উদযাপন উপলক্ষে শতাধিক প্রবাসী রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে যোগ দেন। নিউইয়র্ক রাজ্য সিনেটর রুবিন দিয়াজ এবং অ্যাসেম্বেলিম্যান লুইস সেপুলভেদার বিশেষ উদ্যোগে ষষ্ঠবারের মতো অলবেনিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হল। এ উপলক্ষে স্টেট অ্যাসেম্বলি ও সিনেটে বাংলাদেশের ৪৭তম স্বাধীনতা দিবসের ওপর রেজুলেশন গ্রহণ, অভ্যর্থনা সভা, সম্মাননা প্রদানসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
অ্যাসেম্বলিম্যান লুইস সেপুলভেদা অ্যাসেম্বলি হাউজে এবং রাজ্য সিনেটর রুবিন ডিয়াজ রাজ্য সিনেটে তা উত্থাপন করেন। বর্ণিল এ আয়োজনে নিউইয়র্ক স্টেট পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের সামনে উড়ল বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। অংশগ্রহণকারী সকল বাংলাদেশি দারুণভাবে উপভোগ করেন ঐতিহাসিক এই মুহূর্তটি। নিউইয়র্কের রাজধানী অলবেনির অনুষ্ঠানস্থল এদিন পরিণত হয় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মিলনমেলায়।
উৎসব মুখর আবহে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস, আঙ্কারা-তে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৪৬তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। ২৬ মার্চ ২০১৭, প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী’র নেতৃত্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অদম্য নেতৃত্ব গুণ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য তাঁর ব্যক্তিগত অবদানের কথা গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান, জাতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিককে সেই অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা উচিত মর্মেও রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
মঙ্গলবার আঙ্কারাস্থ সুইস হোটেলে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের অর্থমন্ত্রী নাসি আগবাল। তুরস্কের সেনাবাহিনীর প্রধান এবং নৌবাহিনীর প্রধান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সামরিক বিভাগের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতগণ, কূটনৈতিক কোরের সদস্যবৃন্দ, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যগণ এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরা উক্ত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।
বাংলাদেশের ৪৬তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস স্মরণে বাংলাদেশ দূতাবাস, আঙ্কারা প্রথমবারের মতো ‘ইমার্জিং বাংলাদেশ বিকনস’ শীর্ষক একটি বিশেষ প্রকাশনা মুদ্রণ করেছে। তুরস্কের জনসাধারণের কাছে বাংলাদেশকে সার্বিকভাবে তুলে ধরতে উক্ত প্রকাশনাটি ইংরেজি এবং তুর্কী উভয় ভাষায় মুদ্রণ করা হয়। উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে বিতরণের পূর্বে প্রধান অতিথি প্রকাশনাটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। প্রেস রিলিজ। -ইত্তেফাক থেকে