আজ ১৯ অক্টোবর ২০২৩, বুধবার সকাল ১০ ঘটিকায় বিপ্লবী কবি আবু কায়সার খান এর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার নিজ বাড়ী মুন্সিবাজারের মির্জানগরে ঘরোয়া পরিবেশে নানা কর্মসূচী পালন করা হয়। শুরুতে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হয় এবং দাঁড়িয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে তার বসতগৃহের একটি কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বিপ্লবী কবি কায়সার খান স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে ও স্মৃতি পর্ষদ সভাপতি ডাঃ কবি অবনী শর্ম্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মারনিক আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত কয়সর খানের এক সময়ের ঘনিষ্ট বন্ধু মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনীতিক এডভোকেট হারুনূর রশীদ। অন্যান্যদের মাঝে আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন কবির বোন রেজিয়া খানম, সামছি খানম, স্ত্রী বিউটি কায়সার ও কবির চাচা যুগশ্রেষ্ট চারণকবি সময়ের সাহসী সন্তান রাজনীতিক শহীদ সাগ্নিক, কবির অনুসারী আব্দুন নূর, লিটন মিয়া ও সঙ্গীত শিল্পী অমলেশ শর্মা প্রমুখ। আব্দুন্নুর কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন-“কবির মত সত্যিকারের গরীব দরদী হৃদয়বান মানুষ পাওয়া যায় না। তার শূণ্যস্থান কোনদিনই পূরণ হবার নয়।”
সকল আলোচকই কবির আলোকপ্রভ জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং কবির গবেষণালব্দ তথ্যাদি সংরক্ষন ও বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন। আলোচক সাংবাদিক হারুনূর রশীদ প্রয়াত কবি কায়সার খান-এর সাথে তার স্মৃতিময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে “বিপ্লবী কবি কয়সরখান স্মৃতি পরিষদ”কে বাঁচিয়ে রাখার নিমিত্বে বাস্তব কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার উপর সবিশেষ গুরুত্ব দেন। এ কাজে তিনি নিজেকে সম্পৃক্ত রাখবেন বলেও আশ্বাস দেন।
তিনি আরও বলেন যে, বিপ্লবী কবি কায়সার খানের জীবন কর্মের উপর একটি ‘গবেষণাদল'(গবেষণা সেল) গঠন পূর্বক সংগৃহীত তথ্যসমৃদ্ধ একখানা স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।