কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের উদ্দ্যোগে আনন্দঘন পরিবেশে সমুদ্র সৈকতে বনভোজন অনুষ্ঠিত
নাজমুল সুমন।। বৃটেনের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ব্যবস্থপনায় কার্ডিফ থেকে একশত মাইল দূরে ওয়েলস তথা বৃটেনের পশ্চিম প্রান্তের ছোট শহর নিউ কী সমুদ্র সৈকতে অতি সম্প্রতি এক আনন্দ ভ্রমনের আয়োজন করা হয়।
ভ্রমন পিপাসুগণ সকাল সাড়ে দশ ঘটিকার ভিতরেই ওয়েলফেয়ার সেন্টারে সমবেত হন। অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে এসেছেন যাদের সঙ্গে ছোট শিশুরা ও ছিলেন। দুই ঘন্টা বিশ মিনিটের এই যাত্রা পথের অবসানের পর কোচ, সাগর বিধৌত নির্মল হাওয়া ও সবুজ বেষ্টিত বিরাট এলাকা সংলগ্ন এই অতীব মনোরম পরিবেশ তথা সমুদ্র সৈকতের বনভোজন স্থানে পৌঁছার পর পরই ওয়েলফেয়ার এর মহিলা সদস্যদের ঘর থেকে নিয়ে আসা রকমারি মজাদার খাবার পরিবেশন করা হয়।
এর পর শুরু হয় যার যার মত দল বেধে ঘুরাঘুরি, বাচ্ছাদের মধ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সমুদ্রের হাওয়ায় মনকে শিতল করা সহ জমিয়ে আড্ডা দেওয়া, মাছ ধরা, স্নান করা সহ সপিং শেষে শুরু হয় আনন্দ উৎসব।
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান কমিউনিটি লিডার আব্দুল হান্নান শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক কমিউনিটি সংগঠক মোহাম্মদ আসকর আলীর পরিচালনায় সমুদ্র সৈকতে অনুষ্ঠিত আনন্দ উৎসবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের অন্যতম ট্রাষ্টি ও ডিরেক্টর এবং কার্ডিফ বাংলা স্কুলের জেনারেল সেক্রেটারি ওয়েলসের প্রথম বাঙালী সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর, কার্ডিফ বাংলা স্কুলের সাবেক শিক্ষক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডক্টর সৈয়দ আব্দুল লতিফ, বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের অন্যতম ডিরেক্টর আনজুমানে আল ইসলাম ওয়েলসের সাবেক সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার, বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের অন্যতম ট্রাষ্টি ও ডিরেক্টর যুবনেতা রকিবুর রহমান, ডিরেক্টর নজির উদ্দিন, ডিরেক্টর মাহমুদ হোসেন, হাজী আনসার মিয়া, সেবুল আলী, সাদিক আহমদ, কামাল আহমদ, আব্দুর রব, আসাদ মিয়া, আব্দুল কাদির, নাজমুল হক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শহীদুল্লাহ সমাপনী বক্তব্যে আজকের বনভোজনে অংশগ্রহণকারী ও সহযোগীতাকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের আগামী দিনের অগ্রযাত্রায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
——————————————————————————————
|
লন্ডনে আনুষ্ঠানিকভাবে ৯ম ‘বাংলাদেশ বইমেলার উদ্বোধন
মকিস মনসুর: গত রবিবার লন্ডনে যুক্তরাজ্য সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজিত নবম বাংলাদেশ বই মেলার আনুষ্টানিক উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এম পি ও বৃটেনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ভীষ্মদেব চৌধুরী, লেখক শাহাদুজ্জামান, প্রকাশক ওসমান গণি এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্যের সভাপতি ফারুক আহমদ ও সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন বুলবুল প্রমুখ নেতৃবৃন্দের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় দু‘দিনব্যাপী ৯ম বাংলাদেশ বইমেলা গত ৯ই সেপ্টেম্বর অবধি পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে চলেছে।
সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, যুক্তরাজ্য এর সভাপতি ফারুক আহমদ বলেন, এবার বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাবও রাখা হয়েছে যাতে এই মেলায় বঙ্গবন্ধুর নামে একটি কর্ণার রাখা হয় যেখানে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বিভিন্ন গ্রন্থ রাখা হবে। তাছাড়া এ বছর বাংলাদেশ সরকার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শতবর্ষ কর্মসূচীও নিয়েছে, সেটির পাঠ হিসেবেও আমরা এটিকে মূল্যায়ন করতে চাই। এটা শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামেই হবে।
দুদিন ব্যাপী এই বইমেলা কর্মসূচীর মধ্যে ছিল ৩টি সেমিনার।
বিষয় ছিল বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে সরকারের পরিকল্পনা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. শেখ মুসলিমা মুন, ডেপুটি সেক্রেটারী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
দ্বিতীয় সেমিনার শুরু হয় বিকেল ২:৩০ মিনিটে। বিষয়: অনাবাসী সাহিত্য। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিলেতবাসী কবি হামিদ মোহাম্মদ। তৃতীয় সেমিনার শুরু হয় বিকেল ৩:৩০ মিনিটে। বিষয়: লেখক ও প্রকাশক সম্পর্ক। সেমিনার ৩টিতে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী, ড. শাহাদুজ্জামান, শামীম আজাদ সহ প্রমুখ।
______________________________________
নয়নাভিরাম কেমডেন লক বাজারের একাংশ। ছবি: মুক্তকথা
|