লন্ডন: বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের দু’টি প্রদর্শনী প্রকল্পের জন্য সর্বমোট ৫৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছে। এই অর্থায়নে দেশের স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা সেবার উন্নয়ন করা হবে এর পাশাপাশি ‘পাব্লিক প্রকিউরমেন্ট’কে শক্তিশালী করা হবে।
তন্মধ্যে, ৫১৫ মিলিয়ন ডলারের একটি স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা প্রকল্প দেশের স্বাস্থ্য পদ্বতিকে শক্তিশালী করবে এবং দেশের স্বাস্থ্য সেবার গুনগত মানোন্নয়নে এবং অত্যাবশ্যক সেবাপ্রদানে সহায়তা করবে। ৫১৫ মিলিয়নের এই প্রকল্পের লক্ষ্য দেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা খাত যেখানে দেশের স্বাস্থ্য সেবার অবস্থা জাতীয় মাত্রার নিচে রয়েছে।
গণস্বাস্থ্য সুবিধায় প্রসূতি মাতারা যাতে প্রসবকালীন গুনগত উন্নত সেবা পায় এবং সিলেট ও চট্টগ্রামে এই সুবিধাপ্রাপ্ত প্রসূতিমাতার সংখ্যা বৎসরে যাতে ১,৪৬,০০০ সংখ্যায় পৌঁছায় সে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে এই প্রকল্প। আরো ৫ মিলিয়ন শিশুকে প্রাথমিক রোগমুক্ত চিকিৎসা প্রদানও এই প্রকল্পের আর একটি লক্ষ্য।
যেহেতু বাংলাদেশ জন্ম-মৃত্যুর ক্ষেত্রে একটি বিশেষ পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা রপ্ত করছে ফলে, নব নব অজানা রোগের স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবেলায় এই প্রকল্প সহায়তা করবে। সিলেট ও চট্টগ্রামের স্কুলগামী যৌবনে পা দিয়েছে এমনসব কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবায়ও এ প্রকল্প কাজ করবে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনার উন্নতিসাধনেও এ প্রকল্প কাজ করবে এবং একটি হৃষ্টপুষ্ট তেজী স্বাস্থ্য তথ্য পদ্বতির উন্নয়নে সমর্থ হবে। দেশের ৭ হাজারেরও অধিক ক্লিনিককে স্বাস্থ্যসেবাদানের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য তথ্য প্রদানে সক্ষম করে তুলবে এ প্রকল্প এবং কমকরেও ১৫০টি স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদানের নিশ্চয়তা দেবে। প্রতিটি ক্লিনিকে ২জন সনদপ্রাপ্ত মিডওয়াই নিয়োজিত থাকবে।
বাংলাদেশ সরকারের ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর মেয়াদি স্বাস্থ্য কর্মসূচীর ১৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থায়নের আওতায় এই অর্থ দেয়া হবে।
বৈশ্বিক অর্থায়ন সুবিধার ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদানও রয়েছে এই অর্থায়নের সাথে। এ অর্থে খরচ করা হবে জন্মদান, মাতৃত্ব, নবজাতক, শিশু এবং যৌবনপ্রাপ্তদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবায়। বাকী ৫৫ মিলিয়ন মার্কিনী অর্থের অনুমোদন করা হয়েছে ‘ইম্প্লিমেন্টেশন মনিটরিং ও পাব্লিকপ্রকিওরমেন্ট প্রকল্পে’র ডিজিটাইজিং করার জন্য। যার ফলে বাংলাদেশের পাবলিক প্রকিওরমেন্ট কর্মক্ষমতা বাড়বে এবং তাহা ডিজিটেলি দেখানোর সক্ষমতাও আসবে।
বাংলাদেশ, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ইতিমধ্যেই উচ্চতর ক্ষমতার স্বয়ংক্রিয় তথ্যকেন্দ্র স্থাপনে সক্ষম হয়েছে। নতুন এই প্রকল্প আরো ১৩০০ সরকারী সংগঠনে সম্প্রসারিত হবে।
এই প্রকল্প, কাজের ‘মূল্যায়ন ও প্রদর্শনী কার্যকরী বিভাগ’কে সহায়তা করবে বছরের উন্নয়ন কার্যক্রমকে সফলভাবে তুলে ধরতে, সকল সরকারী সংগঠনের কার্যক্রমকে যুক্তভাবে একটিমাত্র ‘অনলাইন অবতরণক্ষেত্র’র মাধ্যমে। সূত্র: মানিকন্ট্রোল