মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মাসকান্দি গ্রামের মনতাজ উদ্দিন (৭০)কে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন ও ২জনের স্বশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে মৌললভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম দন্ডবিধির ৩০২/৩৬ ও দন্ডবিধির ৩২৪ ধারায় অভিযোগে এ রায় প্রদান করেন। একই সঙ্গে ৩ আসামীর যাবজ্জীবনসহ ২৫হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও অপর ২জনের ৩ বছরের স্বশ্রম কারাদন্ড ও ১০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সদর উপেজলার ৯নং আমতৈল ইউপির মাসকান্দি গ্রামের আলকাছ মিয়ার ছেলে ছানু মিয়া(৪৫), আনছার উল্লাহ অরফে মধুমিয়ার ছেলে লুছন মিয়া(৫৫), মৃত ছাদক উল্লাহর ছেলে রুস্তুম উল্লাহ(৬৫) ও ৩বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- মুহিম উদ্দিনের ছেলে সোনাহর মিয়া(৫২) ও আলকাছ মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া(৪০)। রায়ের সময় সকল আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ধান ক্ষেতে গরু ছড়ানো নিয়ে সংক্রান্ত বিরোধে জের ধরে ১৯৯৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বর আমতৈল-মাসকান্দি রাস্তায় ধারালো অস্ত্র দিয়া মনতাজ উদ্দিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মূছা মিয়া বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় ৫জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং দায়রা -৩৪/৯৭ ও জিআর ৩৬৫/৯৭। সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট কৃপা সিন্ধু দাশ ও বিবাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আজিজুল হক চৌধুরী।
রাজনগরে বিভিন্ন দোকানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।। বাণিজ্য মন্ত্রনালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয় রাজনগর উপজেলায় অভিযান চালিয়েছে। বুধবার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আল-আমিন এর নেতৃত্বে বাজার মনিটরিংমূলক এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জানা যায়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ না করা, মূল্য তালিকা না রাখা, হোটেলে নোংরা পরিবেশে খাদ্য তৈরি, মেয়াদ উর্ত্তীণ খাদ্য পণ্য বিক্রয় করাসহ বিভিন্ন অপরাধে রাজনগরের জননী ষ্টোরকে ২ হাজার টাকা, পল্লবী ষ্টোরকে ৩ শত টাকা, বি-বাড়ীয়া হোটেলকে ১হাজার ৫ শত টাকা, ফয়েজ ভেরাইটিজ ষ্টোরকে ৫ শত টাকাসহ মোট ৪ হাজার ৩শত টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় সহযোগীতায় ছিলেন রাজনগর থানার এসআই দিপক দাশসহ পুলিশ ফোর্স।
কমলগঞ্জ থেকে প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ।। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে এক রাতে একটি জুয়েলারী দোকানসহ ৩টি দোকানে চুরি সংঘটিত হয়। গত বুধবার দিবাগত গভীর রাতে এ ঘটনাটি ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শমশেরনগর ভিতর বাজারের নীলা জুয়েলারী ওয়ার্কস-এর উপরের বাঁশের ছাদ ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে চোরচক্র। চোর চক্র এ জুয়েরালী দোকানের লোহার সন্দুক ভেঙ্গে ও ড্রয়ার ভেঙ্গে ২ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণালঙ্কার, কয়েকটি রুপার চেইনসহ নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা মিলিয়ে ৩লক্ষাধিক টাকার অলঙ্কার চুরি করে। একই সাথে চোরচক্র পাশের সঞ্জীৎ পালের কাপড়ের দোকান থেকে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের কাপড় চুরি করে নেয়। অন্যদিকে রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন আব্দুস সামাদের ছোট টঙ দোকানের দরজা ভেঙ্গে চোরচক্র ক্যাশ থেকে নগদ ২ হাজার টাকা চুরি করে নেয়।
নীলা জুয়েলারী ওয়ার্কস-এর মালিক মিন্টু কর্মকার বলেন, তার দোকারের উপরে টিন শ্যাডের একটি ছোট দোতলা আছে। দোতলার জানালা ভেঙ্গে চোরচক্র বাঁশের ছাদ ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। চুরির ভয়ে মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কার বাসায় নিয়ে রাখায় সন্দুকে ও শো-কেছে যে স্বর্ণালঙ্কার ও ক্যাশে টাকা ছিল তাই চুরি হয়েছে। বিষয়টি শমশেরনগর বণিক কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ ও শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলেও মিন্টু কর্মকার জানান।
অন্যদিকে কাপড়ের দোকানদার সঞ্জিৎ পাল জানান, চোরচক্র তার দোকান থেকে ৫০হাজার টাকা মূল্যের কিছু প্যান্ট নিয়ে গেছে। আর স্টেশন এলাকার টঙ দোকানী আব্দুস সামাদ বলেন, দোকানের ক্যাশে ২হাজার টাকা ছিল তা চুরি করে নিয়েছে।
শমশেরনগর বনিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল মালিক বাবুল চুরির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত কিছু দিন ধরে এ বাজারে আকস্মিকভাবে চুরি বেড়ে গেছে। এটি ঘটনায় রাত্রীকালীন পাহারাদরকে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে জরিমানাও করা হয়েছে। নতুন করে আরও চুরি হচ্ছে বলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বসে চুরি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, ঘটাটি শুনেছেন। তবে কেউ এখনও লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তার পরও পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে বলেও তিনি জানান।
আব্দুর রহমান জুড়ী থেকে।। আমি কর্মে বিশ্বাসী, আমি মনে করি, ভালো কাজ করতে সদিচ্ছার প্রয়োজন। আর আমরা সদিচ্ছা নিয়ে মাঠে কাজ করতে নেমেছি। আমি জুড়ী থানায় যোগদানের পর বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছি, সবার কাছে সহযোগিতায় চেয়েছি। সকলের আন্তরিক সহায়তায় আইন শৃংখলার আরো উন্নয়নের দিকে আগাবে।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জুড়ী অনলাইন প্রেস ক্লাবের সাথে মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার। তিনি বলেন, হাজার দিনের কাজ একদিনে করা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। যে কাজ করে তার ভূল হয়, আর কাজ না করলে তো ভূল হওয়া কথা নয়। তাই আমাদের কাজকর্মে ভূল হলে সংশোধনের উদ্দেশ্যে দেখিয়ে দেবেন। তিনি আরো বলেন, মাদকের ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। মাদক বিরোধী অভিযান বিদ্যমান আছে, থাকবে। ইনশাল্লাহ উপজেলায় মাদক শূণ্যের কোটায় আসবে।
জুড়ী অনলাইন প্রেস ক্লাব সভাপতি এস.এম জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের উপদেষ্টা জায়েদ আনোয়ার চৌধুরী, সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মনির, সহ-সম্পাদক হাবিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সবুর, ইকবাল খান, এ.আর মুবিন, আহমদ আলী, এ.আর সাজেদ প্রমুখ।