1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
রূপকের ভারত ভ্রমণ : ধর্মনগরের সুবিরদেব নাথ ও মন্টু দাস - মুক্তকথা
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১০ অপরাহ্ন

রূপকের ভারত ভ্রমণ : ধর্মনগরের সুবিরদেব নাথ ও মন্টু দাস

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০
  • ৫২৬ পড়া হয়েছে

মুক্তকথা প্রতিবেদন।।  রূপক, পেশায় গ্রামীণ ডাক্তার। মৌলভীবাজার শহর লাগুয়া মনুনদীর ওপারে পশ্চিম ধরে সাবিয়া গ্রামের দিকে যেতে রাস্তার পাশেই তার একটি ছোট্ট ডাক্তারখানাতো বলা যায় না, ইংরেজী ‘ফার্ম্মেসী’ও বলা কঠিন। ‘ফার্ম্মেসী’ বলতে বাংলাদেশেরই বর্তমান নিয়মে যা যা বুঝায় তার সবকিছু সেখানে নেই। বিষয়টি শুধু রূপকেরই বেলায় নয়। সারা মৌলভীবাজার শহরে এমনতরো ‘ফার্ম্মেসী’ কয়েক ডজন রয়েছে। তারা ঔষধালয় বলতে লজ্জাবোধ করে তাই ইংরেজী ‘ফার্ম্মেসী’ নামেই চলে। তাদের এ চলা, সে অবশ্য আজ থেকে নয়, ফেলে আসা পরাধীন অতীতের সেই ইংরেজ আমল থেকেই। ইংরেজদেরতো খুশীই হওয়ার কথা কারণ তাদের শব্দ আমরা ব্যবহার করছি, এক সময় বাংলা ভাষাটাই ইংরেজী শব্দে টইটুম্বুর হয়ে উঠবে এতো তাদের খুশী থাকারই কথা। শুধুই খুশী নয় এমনভাবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইংরেজী শব্দের ব্যবহার বাড়াতে ইংরেজ শাসক শ্রেণী নিশ্চয়ই নানা নমুনায় উৎসাহ দিয়ে গেছে অতীতে। তাদের সেই উৎসাহ দেয়ার রীতি-নীতি থেকে আজ অবদি আমরা সরে আসতে পারিনি। এটি ইংরেজদের কোন দোষ নয়। দোষ যদি বলতেই হয় সে তো আমাদের।
ইংরেজরা তাদের ভাষা আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশে চালু করতে গিয়ে প্রথম প্রথম সাহসই পায়নি। ১৭৫৭ থেকে পুরো আটাত্তর বছর পরে ১৮৩৫সালে বৃটিশ ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী ফার্সী ভাষার স্থলে ইংরেজীকে প্রতিস্থাপন করেছিল।

রূপকের ভাষায়- me with writer, journalist montu das and subir deb nath. I visited them in dharmanagar, india. many days ago they visited Bangladesh. they got award from Bangladesh. I gave them a popular weekly newspaper muktokotha. I visited montu das house. he is a very good man. he valued me.

সেই থেকে শুরু করে দুই দুই স্বাধীনতার পরও আজ অবদি আমরা আমাদের নিজেদের ভাষাকে সমাজের সকল ক্ষেত্রে চালু করতে পারিনি। ডাক্তারী পড়তে গেলে এখনও আমাদের ইংরেজীতেই পড়তে হয়। বিশেষ কোন কোন বিষয়ে গবেষণা করতে গেলে এখনও আমাদের বাইরে যেতে হয়। আর বাইরে মানেই হয় আমেরিকা নয়তো বৃটেন। দু’দেশই ইংরেজী ভাষার দেশ।
সবচেয়ে বড় কথা কি, আজো আমাদের মানুষ নিজের দেশের উপর নির্ভরতা আনতে পারে নি। এখনও মানুষ ভিটে-মাটি বিক্রি করে ওইসব দেশে চলে যেতে চায়। কারণ দেশে কিছু করার মতো স্থানগুলো খুব ছোট, সীমিত। অন্যান্য অনাহুত ঘটনাতো আছেই।  হাস্যকর শুনালেও কথাটা সত্যি যে আজ যদি বাংলাদেশে বলা হয় যে কারা কারা বৃটেন-আমেরিকা যেতে চান। কতজন লোক যেতে চাইবেন না সেটিই হবে মূল দেখার বিষয়।
শিবের গীত গাইতে গিয়ে এ খবরের মূল চরিত্র রূপককেই পর্দার আড়ালে নিয়ে গেছি। রূপক হয়তো খবরটি পড়তে গিয়ে ‘ধান বানতে শিবের গীত’ দেখে পর্দার আড়ালে গিয়ে মুখ টিপে হাসছেন! এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। তা,  রূপক ভারত ভ্রমণে গিয়ে মহাভারতের কোথায় কি দেখেছেন তার কোন হিসেব তার ফেইচবুকে পাইনি। যা পেয়েছি একটা ছবি। আর সে ছবিখানাই আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে রূপককে নিয়ে একখানা খবর তৈরী করতে। রূপক ভারতের ধর্মনগরে গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে যাদের সাথে দেখা করেছেন তাদেরই দু’জন লেখক ও সাংবাদিক মন্টু দাস এবং সুবীর দেবনাথ। তাদেরকে আমাদের অসংখ্য অভিনন্দন!
রূপক মৌলভীবাজারের প্রাচীনতম সংবাদপত্র সাপ্তাহিক মুক্তকথার একখানা কপি তাদের দেখার জন্য দিয়েছেন। আর এরই একখানা ছবি দিয়েছেন ফেইচবুকে। সারা ফেইচবুক খুঁজে এটিই তার ভারত ভ্রমণের একমাত্র কীর্তি! মফঃস্বল শহরের,  পেছনে পড়ে থাকা এক আটপৌঢ়ে সংবাদপত্র উপহার হয়ে উঠছে দু’জন বিদেশী লেখক সাংবাদিকের হাতে। এটিই আমাদেরকে কিছুটা হলেও বিমুগ্ধ করেছে আর তাই এটি আমাদের কাছে খবর হয়ে উঠেছে।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT